
তিনি বলেছেন, ওই রাতে শহরে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। এদিকে বেশ কয়েকজন নারী জানিয়েছেন, নতুন বছরের রাতে তারা কয়েকজন পুরুষের দলের হাতে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন। তাদের কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন কিছু দুর্বৃত্ত তাদের ঘিরে রাখে এবং বাকিরা তাদের হেনস্থা করে। ব্যাঙ্গালোরের পুলিশ কমিশনার প্রাভিন বলেন, আমরা একটি ফুটেজে দেখেছি এক তরুণীকে দুই মোটরবাইক আরোহী হেনস্থা করছে। আমরা এটি দেখেছি, এটা গুরুতর যৌন হেনস্থার কেস। আমরা অপেক্ষা করিনি, এমনকি এটাও খোঁজার চেষ্টা করিনি কে এই হেনস্থার শিকার। আমরা তাকে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা না করেই ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছি।
ব্যাঙ্গালোরে এমজি রোডে দশ হাজার লোকের জমায়েতে যে গণ যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে তা প্রকৃতপক্ষে ঘটেইনি বলেন সুদ। সোশ্যাল মিডিয়াতে যে ফুটেজ ব্যবহার করে গণ যৌন হেনস্থার কথা বলা হচ্ছে তা প্রকৃতপক্ষে পুলিশের লাঠিচার্জের ফলে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার। সুদ বলেন, পুলিশের লাঠিচার্জের পর মানুষ দিকশূন্য হয়ে দৌড় শুরু করে। এর মধ্যে আতঙ্কিত মানুষের জমায়েতে বিশৃঙ্খলা দেখা যায়, তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং তারা কান্নাকাটি শুরু করে। ৩০ সেকেন্ডের সেই দ্বিধার মুহুর্তগুলো এখন গণ যৌন নিপীড়ন বলে অভিহিত করা হচ্ছে। আমি সুনিশ্চিতভাবে বলতে চাই, এমন ধরণের কোনো কিছু ঘটেনি।
বুধবার যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শহরের অন্য এলাকা থেকে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিবিসি।