ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়োগ বাণিজ্য জামালপুর কামালখান হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য

G M Fatiul Hafiz Babu
মিঠু আহম্মেদ , জামালপুর থেকে ঃ

জামালপুর সদর উপজেলার কামালখান হাট উচ্চবিদ্যালয়ে লোক দেখানো নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে একাধিক প্রার্থীরা অভিযোগ করেন।

প্রার্থীরা জানান, ৩ জানুয়ারী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে লোকদেখানো পরীক্ষা নেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটি।

 তারা আগে থেকেই তাদের মনোনীত প্রতিটি প্রার্থীদের কাছ থেকে নগদ  লাখ লাখ উৎকোচ নেয়া হয়েছে বলে ভুক্তবোগীরা জানান।

 সরকারী নিয়ম অনুযায়ী কমপক্ষে সাত কর্মদিবস পর ইন্টার ভিউ নেয়ার নিয়ম থাকলেও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি টাকার লোভে তড়িঘরি করে ৩১ তারিখে কার্ড ছেড়ে ৩ তারিখে পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করেন যা আইনের বর্হিভুত।

 যাতে শুধু তাদের মনোনীত প্রার্থীকে কার্ড প্রদান করে বিদায় অন্যান্য প্রার্থীরা নিয়োগ পরীক্ষার কার্ড না পাওয়ায় তারা নিয়োগ পরীক্ষায় হাজির হতে পারেনি।

প্রধান শিক্ষক পদে ১৩ প্রার্থী আবেদন করেন এর মধ্যে গত ৩জানুয়ারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় তাদের মনোনীত একজন প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে আরও দুইজন ভুয়া প্রার্থীর নাম ও জাল স্বাক্ষর দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ

দেয়ার চেষ্টা করলে ডিজির প্রতিনিধি সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাজিয়া সুলতানা সামনেই স্বাক্ষর করলে অপর শিক্ষকদের প্রতিবাদের মুখে পরীক্ষাটি স'গিত রাখার সিদ্ধানত্মনেন।

এলাকাবাসী ও প্রার্থীদের মাধ্যমে জানা যায়, কামালখান হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে জানুয়ারীর ৩ তারিখে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এর মধ্যে ১৩জন প্রধান শিক্ষকের, ৫জন সহকারী প্রধান শিক্ষকের, ১০জন লাইব্রেরিয়ান ও ৯জন গ্রন'াগারিক ও দপ্তরীপদে আবেদন করেন।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফারহান আহাম্মেদ ও  শিক্ষকদের যোগসাজসে প্রতিজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নেয়া হয় বলে অভিযোগে জানা যায়।

দশ লাখ টাকা নিয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে আব্দুল মজিদকে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করছে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির মামা। লাখ লাখ টাকা নিয়ে সহপ্রধান শিক্ষক শামীমা সুলতানা, সুলতান হোসেন লাইব্রেরীয়ান ও মনিরুজ্জামানকে দপ্তরী হিসাবে নিয়োগ প্রদান করা হয়।

প্রভাবশালীদের ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রার্থী বলেন,  সোনার বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল মজিদকে দশ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়।

আট লাখ টাকা নিয়ে শামীমা সুলতানাকে সহ-প্রধান শিক্ষক, সুলতান হোসেনকে লাইব্রেরীয়ান, মনিরুজ্জামানকে দপ্তরী নিয়োগ দেয়া হয়।

কামাল খান হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাছিরুল ইসলামকে শিক্ষক নিয়োগে দূর্নীতির বিষয়ে প্রশ্ন করলে বলেন, এ বিষয়ে আমি তেমন কিছু জানিনা। বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফারহান ও আন্যান্যরা বলতে পারবেন।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি যুবলীগের সাধারণসম্পাদক ফারান আহাম্মেদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আপনারা তো জানেন আমি কেমন লোক, আমার টাকার লোভ নেই।

 আমি চাই এ স্কুলে শিক্ষকগুলো নিয়োগ হলে লেখাপড়ার মান অনেক ভালা হবে। তাই আমি শিক্ষকগুলো নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করছি।
 

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top