কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ঃ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদরের কুটি চন্দ্রখানা মাঝিপাড়ায় বৃহস্পতিবার ভোররাতে পরেশ চন্দ্র বিশ্বাস (২৮) নামের এক মাছ বিক্রেতার লাশ তার নিজ শয়ন ঘরে ঝুলনত্ম অবস্থায় পাওয়া গেছে।
নিহত মাছ বিক্রেতা উপজেলার কুটি চন্দ্রখানা মাঝিপাড়ার মৃত- নরেশ চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে। সে স্ত্রীর যন্ত্রণায় কাতর হয়ে আত্নহত্যা করেছে এমন অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার।
নিহত মাছ বিক্রেতার মা বাসনত্মী রানী (৫০) জানান, ভোররাতে তিনি ছেলে পরেশ চন্দ্র বিশ্বাসের দরজার পাশে গিয়ে ডাকাডাকি করলে পরেশ চন্দ্র তার ডাকে সাড়া দেয়নি। পরে তিনি ঘরের দরজার ফাঁক দিয়ে দেখেন তার ছেলের দুই পা ঝুলছে। এ সময় তিনি চিৎকার শুরম্ন করলে এলাকাবাসী মাছ বিক্রেতার গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলনত্ম লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়।
জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে ফুলবাড়ী উপজেলা সদরের কুটিচন্দ্রখানা মাঝিপাড়ার অবিনাশ চন্দ্র বিশ্বাসের প্রতিবন্ধী কন্যা যমুনা রানীর (২১) সাথে বিয়ে হয় একই এলাকার মৃত- নরেশ চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে পরেশ চন্দ্র বিশ্বাসের।
সংসার জীবনে যমুনা রানী ৭ মাসের গর্ভবতী হন। এক বছরের জীবন সংসারে স্ত্রী যমুনা রানী স্বামী পরেশের সাথে ভালো ব্যবহার না করায় স্বামী-স্ত্রীর মাঝে প্রায়ই ঝগড়া বাঁধতো। ফলে স্ত্রী যমুনা প্রায় সময় বাবার বাড়িতে যেতেন।
এ নিয়ে যমুনার বাবা পরেশের বিরম্নদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরেশ চন্দ্র বিশ্বাস গরীব হওয়ায় সে মামলা চালাতে না পেরে স্থানীয়দের শরনাপন্ন হয়ে স্ত্রীর সঙ্গে সমঝোতা করার চেষ্টা করেন।
এ নিয়ে গত প্রায় এক মাস আগে স্থানীয় এক সাংবাদিকের বাড়িতে একটি শালিস হয়।
এই শালিসে একটি সমঝোতা হলে স্ত্রী যমুনা রানীর পিতা অবিনাশ চন্দ্র বিশ্বাস মামলা তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রম্নতি দেন। কিন্তু পরে মামলা তুলে না নেওয়ায় আবারও শুরম্ন হয় স্বামী পরেশের উপর স্ত্রী ও শশুরের যন্ত্রণা।
এই যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পরেশ চন্দ্র বিশ্বাস গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছেন এমন দাবি করছেন নিহত পরেশ চন্দ্র বিশ্বাসের পরিবারসহ এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রম্নহানী মাছ বিক্রেতার ঝুলনত্ম লাশের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ পেলে এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।