বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ সংকট

Seba Hot News
বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ সংকটবকশীগঞ্জ প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে। চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল ওষুধ সরবরাহ থাকায় কোন মত চলছে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। বার বার চাহিদা পাঠানো হলেও চাহিদার পরিমান ওষুধ এবং তা সময়মতো পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বকশীগঞ্জে গত কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়া রোগী ও বিভিন্ন রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এ ছাড়াও প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে দুর্ঘটনা শিকার মানুষ চিকিৎসা নিতে আসে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যে পরিমান ওষুধ সরবরাহ করা হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। আবার একটি চক্র বিভিন্ন কায়দায় সরকারি ওষুধ কৌশলে নিয়ে বাইরে বিক্রি করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, এখানে ব্যাথার কোন ট্যাবলেট নেই । কোন রোগীকে ব্যাথার ট্যাবলেট দেয়া যাচ্ছে না। কয়েকদিন থেকে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। ডমপিরিডন ট্যাবলেট নেই দুই সপ্তাহ ধরে। গ্যাস্ট্রিক ও স্কিন ডিজিজের কোন কোন ওষুধ নেই। চাহিদার তুলনায় ওষুধ না আসায় রোগীদের সরবরাহ করা যাচ্ছে না।

 সংকট দেখা দিয়েছে বৃদ্ধদের জন্য ভিটামিনের। ০-২ বছরের শিশুদের জন্য কোন সিরাপ নেই। মাসের শুরুতেই শেষ হয়ে গেছে অ্যান্টোবায়োটিক ট্যাবলেট।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা.জাহিদুল আরেফিন জানান, প্রতিমাসে যে পরিমান ওষুধ প্রয়োজন সে পরিমান ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। যা পাওয়া যাচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম।

এ কারণে রোগীদের সব ওষুধ দেয়া যায় না। বাধ্য হয়েই তাদের কে বাইরের ওষুধ কিনতে হয়। শুধুমাত্র হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের জন্য এসব ওষুধ দেয়ার নিয়ম থাকলেও মানবিক ও অবস্থা বিবেচনা করে বহিঃবিভাগ থেকেও রোগীদের ওষুধ দেয়া হয়।

এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিমাসে ৩০ হাজার পিস প্যারাসিটামল ট্যাবলেট চাহিদা দেয়া হলেও এপ্রিল মাসে পাওয়া গেছে ১২ হাজার পিস, অ্যান্ডাসিড ট্যাবলেট ৩০ হাজারের মধ্যে পাওয়া গেছে ৮ হাজার।

মেট্রোনিডাজিল ৩০ হাজারের মধ্যে ৫ হাজার, রেনিটিড ৩০ হাজারের মধ্যে ৫ হাজার, সিপ্রোসিন ৫ হাজারের মধ্যে ২ হাজার, প্রেসারের ট্যাবলেট ৫ হাজারের মধ্যে ১ হাজার, জিংক ২০ হাজারের মধ্যে ১ হাজার , গর্ভবতী নারীদের আইরন ট্যাবলেট ৫০ হাজার চাওয়া হলেও পাওয়া গেছে মাত্র ১ হাজার পিস, স্যালাইন ৫ হাজারের মধ্যে পাওয়া গেছে ২ হাজার।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল আলম জানান, প্রচন্ড গরম , সড়ক দুর্ঘটনা সহ বিভিন্ন কারণে ওষুধের পরিমান বেশি ব্যবহার হওয়ায় সময়ের আগেই এসব ওষুধ শেষ হয়। এ ছাড়াও যে পরিমান ওষুধের প্রয়োজন সে পরিমান ওষুধ না পাওয়ায় হাসপাতালে ওষুধ সংকট লেগেই থাকে।

ওষুধ সংকটের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বার বার জানানো হলেও কোন কাজ হয় না। 


#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top