
সেবা ডেস্ক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন করাতে ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কারলাইলও অপারগ। সম্প্রতি কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তার বক্তব্যে এমন হতাশাই প্রকাশ পেয়েছে। এমনকি এ মামলায় অপারগতা স্বীকার করতে তিনি কৌশল অবলম্বন করেছেন। তিনি খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে বিএনপির মতো একই বক্তব্য দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড একটি ‘রাজনৈতিক চাল’, এর যথেষ্ট প্রমাণাদিও নেই। লর্ড কারলাইলের বক্তব্য কেবল বিএনপির ভাষ্যই নয় বরং তা দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপরেও অনাস্থার বহিঃপ্রকাশ। আইন বিশ্লেষকরা বলছেন, খালেদা জিয়ার মামলার রায় নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে কারলাইল সরাসরি আদালতকে অবমাননা করেছেন।
আইনে আছে এতিমখানার নামে কোনো অর্থ সহায়তা পেতে হলে সেই এতিমখানায় অন্তত দশজন এতিম থাকতে হয়। এছাড়া সমাজকল্যাণ দপ্তরের নিবন্ধন করতে হয়। কিন্তু সেগুলোর কোনো অর্থই এতিমদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়নি। যেহেতু এতিমদের উদ্দেশ্যে আনা টাকা এতিমের স্বার্থে এসেছিল কিন্তু তা উদ্দেশ্য মাফিক ব্যবহার করা হয়নি তাই সেই টাকা রাষ্ট্রের। এমনকি ওই টাকা এতিমদের স্বার্থে ব্যয় না করে বেগম খালেদা জিয়া ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করেছিলেন এবং ব্যবহার করে এই টাকাগুলি তিনি আত্মসাৎ করেন।
মামলায় ২৩৬ কার্যদিবসে ৩২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়, ২৮ কার্যদিবসে আত্মপক্ষ সমর্থন এবং ১৪ কার্যদিবস যুক্তি তর্ক শুনানি হয়। এ সময় খালেদা জিয়াকে নির্দোষ প্রমাণ করতে তার আইনজীবীরা নানা যুক্তি তুলে ধরেছেন যা ছিলো নামমাত্র যুক্তি উপস্থাপন। পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক সব যুক্তিতর্ক শেষে খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড হয়। অথচ লর্ড কারলাইল এ মামলার যথাযথ কারণ খুঁজে না পাওয়াকে তার অজ্ঞতা হিসেবেই দেখছেন আইন সংশ্লিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাচঁ বছর কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। রায়ের পরই তাকে ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি সেখানে কারাবন্দী রয়েছেন। রায়ে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ এর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আসামিপক্ষ থেকে দেখানো হয়েছে বর্তমানে ওই অর্থ ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে এবং তা সুদে-আসলে বেড়ে ছয় কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড একটি ‘রাজনৈতিক চাল’, এর যথেষ্ট প্রমাণাদিও নেই। লর্ড কারলাইলের বক্তব্য কেবল বিএনপির ভাষ্যই নয় বরং তা দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপরেও অনাস্থার বহিঃপ্রকাশ। আইন বিশ্লেষকরা বলছেন, খালেদা জিয়ার মামলার রায় নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে কারলাইল সরাসরি আদালতকে অবমাননা করেছেন।
আইনে আছে এতিমখানার নামে কোনো অর্থ সহায়তা পেতে হলে সেই এতিমখানায় অন্তত দশজন এতিম থাকতে হয়। এছাড়া সমাজকল্যাণ দপ্তরের নিবন্ধন করতে হয়। কিন্তু সেগুলোর কোনো অর্থই এতিমদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়নি। যেহেতু এতিমদের উদ্দেশ্যে আনা টাকা এতিমের স্বার্থে এসেছিল কিন্তু তা উদ্দেশ্য মাফিক ব্যবহার করা হয়নি তাই সেই টাকা রাষ্ট্রের। এমনকি ওই টাকা এতিমদের স্বার্থে ব্যয় না করে বেগম খালেদা জিয়া ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করেছিলেন এবং ব্যবহার করে এই টাকাগুলি তিনি আত্মসাৎ করেন।
মামলায় ২৩৬ কার্যদিবসে ৩২ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়, ২৮ কার্যদিবসে আত্মপক্ষ সমর্থন এবং ১৪ কার্যদিবস যুক্তি তর্ক শুনানি হয়। এ সময় খালেদা জিয়াকে নির্দোষ প্রমাণ করতে তার আইনজীবীরা নানা যুক্তি তুলে ধরেছেন যা ছিলো নামমাত্র যুক্তি উপস্থাপন। পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক সব যুক্তিতর্ক শেষে খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড হয়। অথচ লর্ড কারলাইল এ মামলার যথাযথ কারণ খুঁজে না পাওয়াকে তার অজ্ঞতা হিসেবেই দেখছেন আইন সংশ্লিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাচঁ বছর কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। রায়ের পরই তাকে ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি সেখানে কারাবন্দী রয়েছেন। রায়ে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ এর কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আসামিপক্ষ থেকে দেখানো হয়েছে বর্তমানে ওই অর্থ ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে এবং তা সুদে-আসলে বেড়ে ছয় কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।