সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করতে না পারা নিজেদের ব্যর্থতা বলে মনে করছেন দলটির মহা-সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত ১৮ মে রাজধানীর নয়া পল্টনের ভাসানী ভবনে এক আলোচনা সভায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে এই স্বীকারোক্তি প্রদান করেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা প্রাপ্ত হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন। তার মুক্তির জন্য বিএনপি আইনগতভাবে লড়াই করার পাশাপাশি কিছুদিন রাজপথেও সমান তালে আন্দোলনে সরব হলেও তাতে ভাটা পড়তে শুরু করে। কঠোর কর্মসূচি এড়িয়ে নরম কর্মসূচির নামে মানব বন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতেও নিজ দলের নেতা কর্মীদের ছাড়া সাধারণ মানুষকে এমনকি নিজ জোটের সকল শরীক দলের নেতা-কর্মীদেরও সম্পৃক্ত করতে না পারায় আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মুক্ত করাটাও এখন বিএনপির জন্য স্বপ্নই থেকে গেল।
এ কারণেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে বলেন, ‘আমরা বারবার চেষ্টা করছি, কথা বলছি, আন্দোলন করছি। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলে গেছে। তারপরও আমরা দেশনেত্রীকে বাইরে নিয়ে আসতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা।
মূলত, একদিকে বেগম জিয়ার মুক্তি ও নির্বাচন প্রশ্নে দলের অভ্যন্তরে নানান মত ও দ্বন্দ্ব এবং দলের কিছু সিনিয়র নেতার বিশ্বাসঘাতকতার কারণে আন্দোলন তেমন জমে ওঠেনি। অন্যদিকে আইনগত বিষয়ে প্রায়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে আইনজীবীদের অবহেলা ও অজ্ঞতাই শুধু নয়, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মতো সিনিয়র আইনজীবীদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা এবং আইনগত বিষয়ের চাইতে আদালতে রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে অযৌক্তিক বক্তব্য উপস্থাপনের সময় অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে দলের অভ্যন্তর থেকেই।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন দলের মহাসচিবের কণ্ঠে দলের চেয়ারপারসন বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে না পারার স্বীকারোক্তি আত্মসমর্পণের শামিল। এতে প্রমাণ হয় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির আন্দোলনের সামর্থ নেই এবং আইনগতভাবে মামলা মোকাবেলার যোগ্যতা বা সাহস কোনটাই নেই। এটি নিঃসন্দেহে একটি দলের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব প্রকাশের লক্ষণ।
জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা প্রাপ্ত হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন। তার মুক্তির জন্য বিএনপি আইনগতভাবে লড়াই করার পাশাপাশি কিছুদিন রাজপথেও সমান তালে আন্দোলনে সরব হলেও তাতে ভাটা পড়তে শুরু করে। কঠোর কর্মসূচি এড়িয়ে নরম কর্মসূচির নামে মানব বন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিতেও নিজ দলের নেতা কর্মীদের ছাড়া সাধারণ মানুষকে এমনকি নিজ জোটের সকল শরীক দলের নেতা-কর্মীদেরও সম্পৃক্ত করতে না পারায় আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে মুক্ত করাটাও এখন বিএনপির জন্য স্বপ্নই থেকে গেল।
এ কারণেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে বলেন, ‘আমরা বারবার চেষ্টা করছি, কথা বলছি, আন্দোলন করছি। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলে গেছে। তারপরও আমরা দেশনেত্রীকে বাইরে নিয়ে আসতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা।
মূলত, একদিকে বেগম জিয়ার মুক্তি ও নির্বাচন প্রশ্নে দলের অভ্যন্তরে নানান মত ও দ্বন্দ্ব এবং দলের কিছু সিনিয়র নেতার বিশ্বাসঘাতকতার কারণে আন্দোলন তেমন জমে ওঠেনি। অন্যদিকে আইনগত বিষয়ে প্রায়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে আইনজীবীদের অবহেলা ও অজ্ঞতাই শুধু নয়, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মতো সিনিয়র আইনজীবীদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা এবং আইনগত বিষয়ের চাইতে আদালতে রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে অযৌক্তিক বক্তব্য উপস্থাপনের সময় অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে দলের অভ্যন্তর থেকেই।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন দলের মহাসচিবের কণ্ঠে দলের চেয়ারপারসন বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে না পারার স্বীকারোক্তি আত্মসমর্পণের শামিল। এতে প্রমাণ হয় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির আন্দোলনের সামর্থ নেই এবং আইনগতভাবে মামলা মোকাবেলার যোগ্যতা বা সাহস কোনটাই নেই। এটি নিঃসন্দেহে একটি দলের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব প্রকাশের লক্ষণ।