সেবা ডেস্ক: বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার জরিপে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশে এগিয়ে থাকলেও তা পাকিস্তান কখনই স্বীকার করে নিতে পারছিলো না। বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে অনেকটা গা জ্বালা নিয়ে মুখ বুজেই থাকতো পাকিস্তান। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্রের অবাধ অনুশীলন সহ নানাবিধ বিষয়ে বাংলাদেশ আজ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর বুকে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে। বাংলাদেশের বর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়নকে এবার নিজের মুখে স্বীকৃতি দিল পাকিস্তান। বাংলাদেশের উন্নয়নকে দেশটি অভূতপূর্ব বলে আখ্যায়িত করেছে। বাংলাদেশকে উন্নয়নের অগ্র-পথিক হিসেবে মেনে নিচ্ছে খোদ পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহসান ইকবাল।
সম্প্রতি ইসলামাবাদে পাকিস্তান ন্যাশনাল সেন্টার ফর সাইবার সিকিউরিটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এই দাবি করে করেন আহসান ইকবাল।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ছাপিয়ে গেছে। পাকিস্তান আজও বাংলাদেশের আশেপাশে যেতে পারেনি। বাংলাদেশের মত একটি নবীন রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশই বিস্মিত। পাকিস্তান ৯০ দশকে সরতাজ আজিজ যখন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ছিলেন তখন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিকল্পা গ্রহণ করেন। যদিও রাজনৈতিক অস্থিরতা ও জাতিগত দ্বন্দ্বের কারণে তা বাস্তবায়ন করাটা সম্ভব হয়নি। অথচ বাংলাদেশের মত একটি ছোট রাষ্ট্র ঠিকই সময়ের সাথে সাথে অর্থনীতিসহ সকল ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা এবং সক্ষমতা অর্জন করেছে। ভাবতেই অবাক লাগে যে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন অথচ আমরা মাত্র ১৮ বিলিয়নে পড়ে আছি। শুধু সামরিক দিক থেকে উন্নত হলে এবং ট্যাংকবহর থাকলেইি একটি দেশ উন্নত এবং স্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে না। আর কত কাল আমাদের চেয়ে চেয়ে দেখতে হবে যে বাংলাদেশের মত রাষ্ট্রগুলো আমাদের চেয়ে এগিয়ে যাবে। সার্বিক উন্নয়নে আমাদের আরো মনোযোগি হতে হবে। আমাদের নতুন নতুন চিন্তা করতে হবে। তবেই দেশের উন্নতি হবে।