সেবা ডেস্ক: ঈদ এলে নাড়ীর টানে ঘরে ফিরে যেতে হয় দক্ষিণাঞ্চল এর বিভিন্ন পেশার মানুষকে । আর ঘরে ফেরার এ যাত্রায় অনেক সময়ই দূর্ভোগ পোহাতে হয় সবাইকে। সরাসরি সড়ক ব্যবস্থা না থাকায় নৌপথের ওপরই ভরসা করে থাকতে হয় তাদের সবাইকে। এ বছরের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতুর কাজ পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে আগামী বছর ঈদে তাদের এ ভোগান্তির ইতি ঘটবে এবং নির্বিঘ্নে হবে ঘরে ফেরা।
পদ্মা সেতুর উপর সম্পূর্ণ আলাদা রেলসেতু নির্মাণের মাধ্যমেই দক্ষিণাঞ্চলের কোটি কোটি মানুষের আশা পূরণ হবে। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের যশোর পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারিত হচ্ছে। আর এ রেলপথটি সম্পন্ন হলে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত দূরত্ব হবে মাত্র ১৬৬.৩৩ কিলোমিটার। বর্তমানের চেয়ে দূরত্ব কমবে কমপক্ষে ১০০ কিলোমিটার পথ।
বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে এর মূল কাজের অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে ৬০ শতাংশ। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। ইতোমধ্যেই একাধিক স্প্যান বসানো হয়ে গেছে।
সেতুতে মোট ৪২টি পিলার থাকবে। এর মধ্যে ৪০টি পিলার নির্মাণ করা হচ্ছে নদীতে। বাকি দুটি নদীর তীরে। নদীতে নির্মাণ করা প্রতিটি পিলারে ছয়টি করে পাইলিং করা হয়েছে, যার গভীরতা গড়ে প্রায় ১২৭ মিটার পর্যন্ত। একটি পিলার থেকে আরেকটির দূরত্ব ১৫০ মিটার।
এ বছরের মধ্যে স্বপ্নের এ পদ্মা সেতু নির্মাণে বদ্ধপরিকর সরকার। তাই আগামী বছর ঈদে পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলবাসীর ঈদের আনন্দকে করে তুলবে দ্বিগুন ।