
সেবা ডেস্ক: ২৬ জুন মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আলোচিত দুই মেয়র প্রার্থীদের শেষ মুহূর্তের প্রচার প্রচারণা চলছে তুমুল গতিতে। নির্বাচনে জয় নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী তাদের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণে বের হয়ে আসে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য।
গাজীপুর সিটির প্রাক্তন মেয়র বিএনপি নেতা এম. এ. মান্নানের ঘনিষ্ঠ এক নেতার মাধ্যমে জানা যায় যে, নির্বাচন নিয়ে দলীয় হাই-কমান্ড থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এসেছে। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন খোঁজ খবর নিয়েছেন। এ ব্যাপারে মির্জা ফখরুল ও হাসান উদ্দিন সরকারের সাথে ব্যক্তিগতভাবে ফোনালাপও সারেন তারেক। তার মতে, এ নির্বাচনে অংশগ্রনের মাধ্যমে বিএনপি নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপির আন্দোলনকে দুর্বল করে তুলছে। বিএনপির মূল লক্ষ্য গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নয় বলে মন্তব্য করেছেন তারেক। বিএনপির ধ্যান ধারণা জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্রিক। যেহেতু গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হচ্ছে, তাই তার ভয় নির্বাচনে কারচুপির সম্ভাবনা আছে। এ কারণে হাসান উদ্দিন সরকারকে নির্বাচন বর্জনের নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু হাসান উদ্দিন নাছোড়বান্দা, তিনি নাকি তারেককে বুঝিয়েছেন নির্বাচনে তার জয় অবশ্যম্ভাবী এবং নির্বাচনের দিন সকাল পর্যন্ত তারেক রহমানের কাছে সময় নিয়েছেন তিনি। হাসান উদ্দিন তারেককে বোঝান যে, এই মুহূর্তে নির্বাচন বর্জন দলের জন্যে অশুভ বার্তা বয়ে নিয়ে আসবে। বিএনপি নির্বাচনে পরাজিত হবার ভয়ে নির্বাচন বর্জন করেছে এমন বার্তা জনগণের মাঝে পৌঁছাবে। কিন্তু নির্বাচনের দিন বিএনপি সরকার ও নির্বাচন কমিশনারের ওপর ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করলে যুক্তিযুক্ত হবে।
এমন খবরের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে গেলে বিএনপির ঘনিষ্ঠ এক সূত্র হতে জানা যায় যে, নির্বাচন বর্জনের খবর শতভাগ সত্য, তবে ঠিক কি কারণে হাই-কমান্ড এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সূত্রটি নিশ্চিত করতে পারেনি।
তাই কি কারণ দেখিয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করবে তা ধারণা করা গেলেও, অপেক্ষা করতে হবে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত।
-