সেবা ডেস্ক: ‘চিকিৎসার মান’ এর দিক থেকে অবনতি পরিলক্ষিত হওয়া ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নেত্রী ও চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রশ্ন উঠেছে, কেন তিনি শুধু ইউনাইটেড হাসপাতালেই চিকিৎসা নিতে চান, অন্য কোথাও নয় কেন? এই প্রশ্নের রেশ ধরেই বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা গেছে, বিএনপির পক্ষ হতে এরকম পরিকল্পনা ছিলো আগে থেকেই। কিন্তু পরিস্থিতি অনুযায়ী সেই পরিকল্পনাতেও পরিবর্তন এসেছে। গুলশানের শেষ প্রান্তে ঢাকার সবচেয়ে আধুনিকতম স্থানে পাঁচ তারকা হোটেল তুল্য এই হাসপাতালটি বিলাসবহুল হলেও এর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালটি বিখ্যাত কার্ডিওলজি এবং নেফ্রোলজি বিভাগের জন্য। যদিও দুটি বিভাগ ছাড়া অন্যান্য চিকিৎসার জন্য ইউনাইটেড হাসপাতাল অনেক পিছিয়ে। যেহেতু খালেদা জিয়ার হৃদরোগ জনিত সমস্যা বা কিডনি সমস্যাও নেই তাই তার ইউনাইটেড হাসপাতাল যাবার কারণ যে স্বাস্থ্যগত নয়, তা পরিষ্কার।
এদিকে বেগম জিয়ার পছন্দের যে চারজন চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করেছেন, তাদের নেতা ডা. এফ. এম. সিদ্দিকী। সরকারি চিকিৎসক হলেও ডা. সিদ্দিকী ল্যাব এইডে বসেন। কিন্তু বেগম জিয়া তার পছন্দের চিকিৎসকের হাসপাতালেও চিকিৎসা নিতে আগ্রহী নন। এছাড়া ইউনাইটেড হাসপাতালে বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ‘ড্যাব’- এর সক্রিয় কয়েকজন চিকিৎসক রয়েছেন। যাদের মাধ্যমে হাসপাতালকে ম্যানেজ করে সেখান থেকেই দেশের রাজনীতির মাঠ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যেই মরিয়া হয়ে উঠেছেন খালেদা জিয়া তথা বিএনপি।
সূত্র জানায়, ইউনাইটেড হাসপাতালে প্রতিষ্ঠাতা বিএনপিপন্থি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকায় হাসপাতালের একটি নির্দিষ্ট ফ্লোর বিএনপি নেতাদের জন্য বরাদ্দ রাখেন। সেই মোতাবেক খালেদা জিয়ার চিকিৎসার পরিকল্পনায় এরইমধ্যে ইউনাইটেড হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের জন্য ওই নির্দিষ্ট ফ্লোরের আলাদা আলাদা কেবিন বুকিং দেয়া হয়েছে। যাতে খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি হলেই সেখান থেকেই দল পরিচালনা করতে সুবিধা হয়। উল্লেখ্য, এই তথ্য দেশের অনেক মিডিয়া হাউজ জানলেও ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃক আর্থিক সুবিধা পাওয়ায় তা প্রকাশ থেকে বিরত থাকে বলেও জানা যায়।
নির্দিষ্ট হাসপাতাল ব্যতীত চিকিৎসা নিতে অনাগ্রহী প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেন, বিএনপি নেত্রী অসুস্থ, তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না বলে বিএনপির তরফ হতে যে উচ্চবাচ্য করা হচ্ছে তা কেবল রাজনীতি। নেত্রীর শারীরিক সমস্যা নিয়েও তারা রাজনীতি করতে ব্যস্ত। একজন অসুস্থ মানুষ চায় যেকোন মূল্যে তিনি সেরে উঠবেন। এই হাসপাতালে যাবো না, ওই ডাক্তার দেখাবো না বলে চেঁচামেচি করার কথা নয়। বিএনপির অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, নেত্রীর বিয়ে, হাতে এই ব্র্যান্ডের মেহেদী না লাগিয়ে ওই ব্র্যান্ডের মেহেদী লাগাতে ব্যস্ত বিএনপি!