ফখরুলের লন্ডন সফরে নাখোশ রিজভীপন্থী নেতারা

S M Ashraful Azom
ফখরুলের লন্ডন সফরে নাখোশ রিজভীপন্থী নেতারা

সেবা ডেস্ক: চলতি মাসের ৩ জুন থাইল্যান্ড যাওয়ার আগের দিন লন্ডন যাত্রা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে গুজব বলেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহা সচিব মির্জা ফখরুল। তবে শেষ-মেষ নিজের কথা থেকে সরে এসে, থাইল্যান্ড থেকে লন্ডন গিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করেছেন মির্জা ফখরুল। এদিকে তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না রিজভীপন্থী বিএনপি নেতারা। তারা বলছেন, দলের ক্রান্তিলগ্নে সব সময় এগিয়ে এসেছিলেন রুহুল কবির রিজভী ভাই। অথচ শেষ হাসি মির্জা ফখরুলের মুখে থাকবে, তা মেনে নেয়া যায় না।

এ প্রসঙ্গে ঢাকার নয়াপল্টন থানা যুবদল সভাপতির সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, রিজভী ভাই দলের জন্য যা করেছেন, তা আমার নিজের চোখে দেখা। তার পরিবারের সঙ্গে তার কতো বছর আগে দেখা হয়েছে তাও তিনি ভুলে গেছেন। বর্তমানে অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন পার করছেন নয়া পল্টন কার্যালয়ে। অথচ ব্যাংকক-লন্ডন ট্যুর দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল। ব্যাপারটা বেমানান। এখন শুনলাম তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে পরামর্শ করছেন। প্রশ্ন জাগে, মির্জা ফখরুল দলের জন্য এমন কি করেছেন, যে তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে পরামর্শ করতে গিয়েছেন।

তবে নয়াপল্টনের থানা যুবদল সভাপতির কথায় দ্বিমত পোষণ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির এক সিনিয়র নেতা বলেন, রিজভীপন্থী নেতারা কখনোই চায় না দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিএনপি চলুক। বিএনপির জন্য মির্জা ফখরুল যা করেছেন, তা কখনোই অস্বীকার করা যায় না। অথচ পথভ্রষ্ট কিছু নেতা তা মানতে চায় না। আর এ কারণেই দল বিভক্তির দ্বার প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে। এসব নেতাদের দল থেকে বের করে দেয়া উচিত।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে দলটি দু ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে কেউ কারো নেতৃত্ব সহ্য করতে পারছেন না। দলে বর্তমানে একতা নেই, রয়েছে শুধু সমন্বয়হীনতা। রুহুল কবির রিজভী চায় মির্জা ফখরুলের জায়গা দখল করতে। আর মির্জা ফখরুল চায় দলের প্রধান হতে। অপরদিকে তারেক রহমান এবং জোবায়দা চায় দলের প্রধান হতে। ক্ষমতা আহরণের নেশায় মত্ত হয়ে দলটি দলীয় কোন্দলে ফেঁসে গিয়ে সেই পানিতে ডুবে মরছে, তা তারা নিজেরাও বুঝতে পারছে না। এমতাবস্থায় বিএনপির অস্তিত্ব আর টিকবে কি না, তাই নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।



ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top