সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে প্রায় তিন মাস ধরে জেলে দিন কাটাচ্ছেন। খুব অল্প এ সময়ের মধ্যেই বেগম জিয়ার সাথে দলীয় নেতা-কর্মী, আইনজীবী এবং ঘনিষ্ঠজনদের সম্পর্কের দূরত্ব বেড়েই চলেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর নেত্রীকে মুক্ত করতে রাজপথে কঠোর আন্দোলনের কথা নেতা-কর্মীদের মুখ থেকে প্রথমদিকে শোনা গেলেও সে আন্দোলনের ছিটে-ফোঁটা চোখে পড়েনি কারো। বরং সময়ের সাথে সাথে বিএনপি নেতাদের জোরালো বক্তব্যে পড়েছে ভাটা। বেগম জিয়ার মুক্তির আশা ছেড়ে দিয়ে অনেক নেতা-কর্মীই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নিজেদের নিয়ে। বেগম জিয়ার আইনজীবীরাও জামিনের প্রত্যাশায় কিছুদিন দৌড় ঝাঁপ করলেও সে আশা এখন তারা ছেড়ে দিয়েছেন। ফলে সহসাই খালেদা জিয়ার মুক্তির সম্ভাবনা দেখছে না কেউ ।
এদিকে কারা সূত্রে জানা গিয়েছে যে, প্রথম রোজায় খালেদা জিয়ার সাথে তার ভাই-বোনরা দেখা করতে আসলেও এরপর তার সাথে দেখা করার জন্য কেউই যাননি জেলখানায়। ডিভিশন প্রাপ্ত একজন দণ্ডিত কয়েদী মাসে দুবার সাক্ষাতের সুযোগ পান। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেননি তার আত্মীয় পরিজনরা। প্রথম দিকে যেভাবে শুকনো খাবার স্বজনদের কাছ থেকে আসতো তার জন্য, তার পরিমাণও ইদানিং এখন কমে গেছে। বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়েও প্রথমে কিছুদিন হৈ চৈ চললেও এখন সে কথাটি তুলছেন না কেউ।
কথায় আছে চোখের আড়াল হলে নাকি মানুষ মনের আড়াল হয়। তিন মাসের অনুপস্থিতিতে খালেদা জিয়াকে যেভাবে ভুলতে বসেছে তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী এবং কাছের মানুষেরা, তখন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কতটুকু বিশ্বাস এবং ভালবাসা অবশিষ্ট আছে তাদের নেত্রীর জন্য, তাই বড় প্রশ্ন।