সেবা ডেস্ক: শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন অর্জিত হবেনা যদি প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন সম্ভব না হয়। এই ধারণা থেকেই বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে জোর আরোপ করা হয়।
বিগত ৯ বছরে দেশের প্রায় ৯৬ শতাংশ শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। নিরক্ষরতা দূরীকরণেও অর্জিত হয়েছে তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য। দশ বছর আগে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থী ভর্তির হার ছিল ৬১ শতাংশ। বর্তমানে সেখানে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা শতভাগ। জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন ইউনেস্কোর এডুকেশন ফর অল গ্লোবাল মনিটরিং কর্মসূচির আওতায় প্রণীত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিম্ন আয় সত্ত্বেও অল্প যে কয়েকটি দেশ জাতীয় বাজেটে শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছে, বাংলাদেশ সেসব দেশের একটি। প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে দেশের শিক্ষার অগ্রগতি আরও জোরদার হবে বলেও তারা উল্লেখ করেছে।
ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি এবং ঝরে পড়া রোধের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রনালয় ২০১০ সাল হতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সকলস্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করে আসছে।
সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার প্রতিও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গ্রাম-শহর উভয় অঞ্চলেই বেড়েছে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার হার। মানের দিক থেকেও এগিয়েছে এ পর্যায়ের শিক্ষা। উপবৃত্তির কারণে স্কুলগামী মেয়েশিশুর হার বেড়েছে। স্কুলে খাবার কর্মসূচিও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। এসব কর্মসূচির ফলে ঝরে পড়া শিশুর হার কমেছে।
প্রাথমিক শিক্ষার জন্য “উপবৃত্তি প্রকল্প” সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহে ভর্তিকৃত সকল শিক্ষার্থীর মায়েদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের এক ইতিবাচক ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
বিগত কয়েকবছরে প্রাথমিক শিক্ষা খাতে যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি শক্তিশালী মানব সম্পদে পরিণত করতে সহায়ক হবে।