
সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশে দুর্নীতির দায়ে খালেদা জিয়া জেল খাটছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভরাডুবি, নেতা-কর্মীদের আন্দোলন বিমুখতা, দলের ভঙ্গুর অবস্থা। সব মিলিয়ে বিএনপির অবস্থা পানি ছাড়া মাছের মতো। কর্মীদের মধ্যে নেই যোগাযোগ। বিএনপির এমন মরণ দশায় নেতৃত্ব দেওয়া বাদ দিয়ে বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে জুয়া খেলায় মেতেছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপি নেতা তারেক রহমান। জুয়ার নেশায় প্রতিদিন হাজার হাজার পাউন্ড খরচ করছেন তিনি। জুয়ার টাকা ম্যানেজ করতে এখন দেশে বিভিন্ন কমিটি বানানো, সংসদ নির্বাচনের আগাম টিকিট বিক্রি, বিভিন্ন ছুঁতো দিয়ে চাঁদা আদায় করছেন তারেক রহমান। তারেক রহমানের জুয়া আসক্তি নিয়ে অসস্থিতে আছেন লন্ডন বিএনপিসহ বাংলাদেশ বিএনপির নেতারা। তারেক রহমানের জুয়ার নেশায় আতঙ্কে দিন পার করছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
লন্ডন বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বেট ৩৬৫, বেট হাবসহ একাধিক অনলাইন জুয়ার আসরে পয়সা লাগাচ্ছেন তারেক রহমান। একাধিক বারে উপস্থিত হয়ে সরাসরি বাজি ধরছেন তারেক। ২২ জুন দুই বন্ধুকে নিয়ে স্থানীয় সময় রাত আটটায় কিং ক্রসের স্পোর্টস ক্লাবে প্রবেশ করেন তারেক। ক্লাবে ব্রাজিলের পক্ষে বাজি ধরে ৫ হাজার পাউন্ড জিতেন তারেক। একই দিন আইসল্যান্ডের পক্ষে বাজি ধরে হেরে যান ১০ হাজার পাউন্ড। হেরে গিয়ে মদের গ্লাস ভাংচুর করায় বার টেন্ডারদের হাতে লাঞ্ছিত হন তারেক। এক পর্যায়ে মাতাল হয়ে প্রতিশোধ নিতে গেলে বার টেন্ডাররা তারেক রহমানকে কয়েকটি কিল-ঘুষি দিয়ে ক্লাব থেকে বের করে দেন।
লন্ডন বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ফুটবল জুয়া ছাড়াও তারেক লন্ডনে নিয়মিত জুয়া খেলেন। ওয়েস্ট ফিল্ডের ক্যাসিনোতে তারেক নিয়মিত যাতায়াত করেন। কিছুদিন আগে তারেক লন্ডন পুলিশকে জানান যে জুয়া তার প্রধান পেশা।
লন্ডনে বিএনপির নেতারা তারেককে `গ্যাম্বলার` কোড নামেই ডাকেন। তাতে অবশ্য তারেক অখুশি নন। তারেক রহমানের জুয়া খেলার বিষয়ে লন্ডন বিএনপির এক নেতা বলেন, বিদেশে এসে ভাল মৌজ-মাস্তি করছেন তারেক। প্রতিদিন জুয়া খেলেন। আর জুয়ার টাকা দিতে হয় আমাদের। রাজনীতির কী দরকার? মানুষের টাকায় তো তারেক রহমানের জীবন পার হয়ে গেল। বিএনপি করে পাপ করেছি আমরা। একজনের জন্য বাকিদের জীবন বিভীষিকাময় হয়ে পড়েছে। নানা অজুহাতে চাঁদা নিয়ে দিনশেষে জুয়াতে টাকা শেষ করেন তারেক। মা জেলে। অথচ তারেক দিব্বি জুয়া খেলছেন। তারেক সন্তান নামের কুলাঙ্গার। মানুষ এত খারাপ হয় কেন?
এদিকে জুয়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় ঢাকাতেও তারেক রহমানের যোগাযোগ কমে গেছে। জরুরি ফোন করেও পাওয়া যায় না তাকে। কিছু বলতে গেলেই শুধু চাঁদা চান। নেতৃত্ব, দল নিয়ে আপাতত মাথা ঘামাচ্ছেন না। ফুটবল বিশ্বকাপে নিজ পকেট ভরাতে ব্যস্ত তারেক রহমান।