সেবা ডেস্ক: বাহরাইন ও বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী গরীব পুরুষ ও মহিলা কর্মীদের অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে বিএনপি সমর্থিত দালাল চক্রদের জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিশেষ সূত্রে জানা যায় বাহরাইন বিএনপির অন্যতম নেতা শাহ আলম মানিকের নেতৃত্বে একটি দালাল চক্র বাহরাইনে বাংলাদেশী নারীদের নিয়ে এসব অপকর্মের অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত বাহরাইন বিএনপির অন্যতম নেতা শাহ আলম মানিক কুমিল্লার হরিপুর গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের লাঙ্গলকোট পৌরসভার স্থায়ী বাসিন্দা। শাহ আলম মানিক লাঙ্গলকোট পৌরসভার বিএনপি নেতা ফজলুল হকের পুত্র। বর্তমানে তিনি বাহরাইন প্রবাসী এবং নারী পাচারের সাথে সরাসরি জড়িত।
আরও জানা যায় মানিক দেশে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলত। পরবর্তীতে ওইসব নারীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলত। তাঁদের ব্ল্যাকমেইল করে তাদের কাছ থেকে অর্থসহ বিভিন্ন ধরণের অনৈতিক সুবিধা আদায় করে নিত। একাধিক নারীর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগে একাধিক বার এলাকায় স্থানীয় পর্যায়ে বিচার সালিশেরও মুখোমুখি হতে হয়েছে মানিককে।
জানা যায় কুমিল্লার বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় দেশে থাকা অবস্থায় জনশক্তি বিভিন্ন দেশে রপ্তানির নামে নারী পাচারে জড়িয়ে পড়ে মানিক। পরবর্তীতে সে বাহরাইন গিয়ে তার এই নারী পাচার কার্যক্রম আরো বিস্তৃত করে ফেলে। বেশিরভাগ সময় বাহরাইন থেকে যে মোবাইল নাম্বার থেকে দেশে বিভিন্ন দালালের সাথে যোগাযোগ করত সেটি হচ্ছে +৯৭৩ ৩৩৮২২১৯৯ ।
অনুসন্ধানে জানা যায় শিল্পী আক্তার নামক এক ভুক্তভোগীকে কথিত স্ত্রী বানিয়ে বাহরাইনে নিয়ে যায় মানিক এবং অবৈধ কাজে জড়িত হতে বাধ্য করে। শিল্পী আক্তার খুলনার কালিশপুরের নিউ কলোনির বাসিন্দা। উক্ত এলাকার এক স্থানীয় দালালের মাধ্যমে মানিকের সাথে পরিচয় হয় শিল্পী আক্তারের। তাকে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার লোভ দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল মানিক। শিল্পী আক্তারের সাথে যে মোবাইল নাম্বারে মানিক যোগাযোগ করত সেটি হচ্ছে ০১৯৩৭ ৮৭৬৭৫৩।
শাহ আলম মানিক বাহরাইনে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত বলেও খবর পাওয়া গেছে। তার ফেসবুক একাউন্টে সরকার বিরোধী প্রচারণা চালানোসহ বিএনপির পক্ষে বিভিন্ন সংবাদের পোস্ট রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। তিনি বাহরাইনে কয়েকটি হোটেলে ওয়েটার, ড্যান্সার ও ডিসকো গার্ল ইত্যাদি হিসেবে বাংলাদেশী মেয়েদের সরবরাহ করে থাকেন।
তারেক জিয়া বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিদেশে নষ্ট করতে আর বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার ধ্বংস করে বাংলাদেশের অর্থনীতি নষ্ট করে দিতে মজিবুর রহমান সহ আরো কয়েকজনকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে। শাহ আলম মানিক সেই আদেশের প্রেক্ষাপটেই এসব কাজ করত বলে তথ্য মিলেছে।
এছাড়া তার সাথে কুমিল্লা লাঙ্গলকোটের বিএনপি নেতা মজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় কুমিল্লা থেকে মেয়ে সংগ্রহ করে বাহরাইনে পাচারের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা পালন করেন মুজিবুর রহমান।