চিত্রশিল্পী শহিদুল আলমের নারী লালসার প্রমাণ তার ম্যাসেঞ্জারে

S M Ashraful Azom
চিত্রশিল্পী শহিদুল আলমের নারী লালসার প্রমাণ তার ম্যাসেঞ্জারে
চিত্রশিল্পী শহিদুল আলম

সেবা ডেস্ক: রাজধানিতে বাস দূর্ঘটনায় দুই স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকালীন সময়ে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দেওয়া এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোপন ষড়যন্ত্রের দায়ে চিত্র সাংবাদিক এবং দৃক গ্যালারি ও পাঠশালা’র প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর তাকে গ্রেপ্তারের পর পরই বিভিন্ন অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে তার চরিত্র স্খলনজনিত বিভিন্ন তথ্য। জানা গেছে, অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য নানা অপকর্মে জড়ানোর পাশাপাশি শহিদুল আলম ছিলেন অত্যন্ত নারী লোলুপ একজন ব্যক্তি। তার ব্যক্তিগত মোবাইলে ব্যবহৃত ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার অনুসন্ধান করে মিলেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সূত্র বলছে, শহিদুল আলমের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার ঘেটে দেখা গেছে তিনি একাধিক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর বিভিন্ন টেক্সট, ছবি আদান-প্রদান করেছেন। তার মধ্যে একজন নারী যিনি শিল্পকলা একাডেমি ও উদীচী শিল্পগোষ্ঠী’র মতো একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী হিসেবে কাজ করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই নারীর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণা জেলায়। দীর্ঘদিন হলে তিনি ঢাকায় থাকেন। ওই নারীর সামাজিক নিরাপত্তার জন্য আর কোনো তথ্য দিতে রাজি হয়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

জানা গেছে, ফটো সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি তার প্রতিষ্ঠান দৃক- এ কাজের সুযোগ করে দেয়ার নামে বিভিন্ন সময় একাধিক নারীর সঙ্গে অবৈধ দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। নারী সাংস্কৃতিক কর্মীদের ভুলিয়ে তাদের সুযোগ নিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে ঢাকায় অবস্থানরত নেত্রকোণার ওই নারী স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে আমাকে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখায়। আমিও তার কথা মতো চলতে থাকি। পরে তিনি আমাকে অবৈধ সম্পর্কে বাধ্য করে। যদিও চাকরিটা আমি এখনো পাইনি।

প্রসঙ্গত, তার ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবারসহ একাধিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর ছবি আদান-প্রদান করেছেন। সেগুলো এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তগত রয়েছে বলে জানা যায়।



ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top