ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষায় ‘বিশ্ব আদিবাসী দিবস’

S M Ashraful Azom
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষায় ‘বিশ্ব আদিবাসী দিবস’

সেবা ডেস্ক: ৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক ‘বিশ্ব আদিবাসী দিবস’। ১৯৯৪ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটি পালন করে আসছে বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী। ১৯৯২ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ উপকমিশনের কর্মকর্তারা তাদের প্রথম সভায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী দিবস পালনের জন্য ৯ আগস্ট কে বেছে নেন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণের মানবাধিকার, পরিবেশ উন্নয়ন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সুদৃঢ় করা এবং গণসচেতনতা সৃষ্টি করাই বিশ্ব ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী দশক, বর্ষ ও দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্যে।

সরকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। সর্বশেষ বাজেটেও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ বরাদ্ধ রাখা হয়েছে। তাদের জীবনমান উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকার কাজ করছে।

বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের – উন্নয়নের মাইলফলক। এ চুক্তির ফলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের শান্তি, সৌহার্দ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা তথা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, কৃষি ও আর্থ-সামাজিক খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে।

দেশের প্রায় ৫৫টি জেলায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী বসবাস রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বড় অংশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের বাস। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবনে বেশ কয়েকটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায়ও অল্পসংখ্যক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের দেখা যায়। দেশের উত্তরাঞ্চলে প্রায় ২০ লাখ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জনগোষ্ঠীর বাস চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, জয়পুরহাট, রংপুর, দিনাজপুর জেলায়। এ অঞ্চলে প্রায় ৩০টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগোষ্ঠী বাস করে।

এসব ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জাতিগোষ্ঠী হিসেবে মুল্যায়ন করে তাদের জন্য প্রতন্ত এলাকায় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের জন্য ললিতকলা একাডেমী স্থাপন, দূর্গম পাহারে বিদুৎ, পানির ব্যবস্থা করা ও পাকা রাস্তা করে দেয়া হয়েছে। এই জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আমাদের দেশকে সমৃদ্ধ করেছে। বিশেষ করে তাদের বসবাসের এলাকাগুলোর পরিবেশ খুবই সুন্দর। যা পর্যটকদের আকৃষ্ট করেছে।

সরকারীভাবে এখন পর্যন্ত ২৭ টি নৃ-গোষ্ঠীকে সংরক্ষন করা হয়েছে। প্রত্যেকটি জাতী গোষ্ঠীর ঐতিহ্য রক্ষায় সরকার বদ্ধ পরিকর। একই সাথে এই জাতী গোষ্ঠীকে সমৃদ্ধ ও সম্মানজন জনগোষ্ঠী হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে সরকার কাজ করছে। তাদের উৎপাদিত পন্য যাতে তারা সহজে বহন ও বিপনন করতে পারে সরকার সে দিকেও বিশেষ নজর দিচ্ছে।

আদিবাসী জনগোষ্ঠী এখন আর অবহেলিত নয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের জীবন মানের উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। আদিবাসীদের জীবনমান আলোকিত করতে বিদ্যুৎ ও সৌর বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আর তাদের উপর যেন জুলুম অত্যাচার না হয় সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
 -
ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top