সেবা ডেস্ক: আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিয়ে জাতীয় ঐক্য গঠন করার প্রক্রিয়া জোরালো হচ্ছে। তবে জাতীয় ঐক্য গঠন করার পূর্বেই মত বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে জাতীয় ঐক্যের ‘নেতৃত্ব’ নির্বাচনকে ঘিরে। সংসদীয় আসন সংখ্যা বণ্টন নিয়েও চলছে দর কষাকষি।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পছন্দ ড. কামাল হোসেন, এমনকি বিএনপির পক্ষ থেকে ড. কামালকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার প্রস্তাব দেয়ার গুঞ্জনও জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে বলা হয়েছে, তার প্রতি তাদের সম্মান অক্ষুণ্ন থাকবে। অতীতের সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান চায় দলটি। তবে ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রধান নেতা হিসেবে ড. কামাল হোসেনকেই দেখতে চায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। দলীয় নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পুরো বিষয়টিই খোলাসা করেছেন কামাল হোসেনের কাছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রধান নেতা নিয়ে ঐক্য প্রক্রিয়ায় আরও টানাপড়েন হতে পারে। তাছাড়া জামায়াতে ইসলামীকে নিয়েও ঐক্য প্রক্রিয়ায় সংশয় আছে। কারও কারও জামায়াত সম্পর্কে নমনীয় মনোভাব থাকলেও কারও মনোভাব কঠোর।
যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান বি. চৌধুরী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের ঐক্য ভারসাম্যের ভিত্তিতে হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধের মানচিত্রকে এখনো অস্বীকার করে, তাদের বাদ দিয়ে বাংলাদেশের সবার সঙ্গে আমরা ঐক্য কামনা করি’।
বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী বলেন, ‘বিকল্পধারার পক্ষ থেকে আমরা রেজুলেশন নিয়ে জাতীয় নেতৃবৃন্দকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি, স্বাধীনতা বিরোধী কোনো দল বা ব্যক্তিকে শরিক রাখলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করা যাবে না।’
এদিকে জাতীয় ঐক্যের নেতা হওয়া নিয়ে বি. চৌধুরী ও ড. কামালের মধ্যেও মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব চলছে। জাতীয় ঐক্যের নামে আলাদা আলাদাভাবে সভা সমাবেশ করছে এই দুই নেতা।
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে ঐক্য প্রক্রিয়া ও যুক্তফ্রন্টের সোমবারের বৈঠকে যোগ দেননি বিকল্পধারার সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। অন্যদিকে গতকাল রাতে ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাড়ির বৈঠকে যাননি ড. কামাল হোসেন।
এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ২৯ তারিখের সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য ড. কামালকে দাওয়াত দেয়া হলেও বিএনপির পক্ষ থেকে বি. চৌধুরীকে দাওয়াত দেয়া হয়নি। বিএনপির সমাবেশে যোগ দেয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বি চৌধুরী বলেন, ‘আমাকে তো এখনো দাওয়াতই দেওয়া হয়নি’।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মূলত বি. চৌধুরীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য গঠন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায়। জোটের সমীকরণ তাই এখন বেশ জটিল আকার ধারণ করেছে।
⦽প্রকাশকাল: ২৭-সেপ্টেম্বর-২০১৮-১৭:৪২ ⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পছন্দ ড. কামাল হোসেন, এমনকি বিএনপির পক্ষ থেকে ড. কামালকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার প্রস্তাব দেয়ার গুঞ্জনও জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পক্ষ থেকে বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে বলা হয়েছে, তার প্রতি তাদের সম্মান অক্ষুণ্ন থাকবে। অতীতের সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান চায় দলটি। তবে ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রধান নেতা হিসেবে ড. কামাল হোসেনকেই দেখতে চায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। দলীয় নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পুরো বিষয়টিই খোলাসা করেছেন কামাল হোসেনের কাছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রধান নেতা নিয়ে ঐক্য প্রক্রিয়ায় আরও টানাপড়েন হতে পারে। তাছাড়া জামায়াতে ইসলামীকে নিয়েও ঐক্য প্রক্রিয়ায় সংশয় আছে। কারও কারও জামায়াত সম্পর্কে নমনীয় মনোভাব থাকলেও কারও মনোভাব কঠোর।
যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান বি. চৌধুরী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের ঐক্য ভারসাম্যের ভিত্তিতে হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধের মানচিত্রকে এখনো অস্বীকার করে, তাদের বাদ দিয়ে বাংলাদেশের সবার সঙ্গে আমরা ঐক্য কামনা করি’।
বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী বলেন, ‘বিকল্পধারার পক্ষ থেকে আমরা রেজুলেশন নিয়ে জাতীয় নেতৃবৃন্দকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি, স্বাধীনতা বিরোধী কোনো দল বা ব্যক্তিকে শরিক রাখলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত করা যাবে না।’
এদিকে জাতীয় ঐক্যের নেতা হওয়া নিয়ে বি. চৌধুরী ও ড. কামালের মধ্যেও মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব চলছে। জাতীয় ঐক্যের নামে আলাদা আলাদাভাবে সভা সমাবেশ করছে এই দুই নেতা।
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে ঐক্য প্রক্রিয়া ও যুক্তফ্রন্টের সোমবারের বৈঠকে যোগ দেননি বিকল্পধারার সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। অন্যদিকে গতকাল রাতে ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাড়ির বৈঠকে যাননি ড. কামাল হোসেন।
এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ২৯ তারিখের সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য ড. কামালকে দাওয়াত দেয়া হলেও বিএনপির পক্ষ থেকে বি. চৌধুরীকে দাওয়াত দেয়া হয়নি। বিএনপির সমাবেশে যোগ দেয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বি চৌধুরী বলেন, ‘আমাকে তো এখনো দাওয়াতই দেওয়া হয়নি’।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মূলত বি. চৌধুরীকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য গঠন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায়। জোটের সমীকরণ তাই এখন বেশ জটিল আকার ধারণ করেছে।
⦽প্রকাশকাল: ২৭-সেপ্টেম্বর-২০১৮-১৭:৪২ ⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক