
মনির হোসেন, কালিহাতী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভাধীন এলেংজানী নদীতে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলণ চলছেই। হুমকির মুখে স্কুল, মসজিদ ও বসতবাড়ী।
উপজেলার পাথাইল কান্দি ও ধলাটেংগরে ১৫ টি ড্রেজার দিয়ে অবাধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে চরভাবলা গ্রামের ফরজ আলী, ধলাটেংগর গ্রামের আজিমুদ্দিন, ফটিক ও দিঘলাপাড়া গ্রামের রাজ্জাক ও আলমগীর। এসব এলাকায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদী তীরবর্তী বসতবাড়ী, একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাথাইল কান্দি গ্রামের মসজিদটি যেকোন সময় ধ্বসে নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে।
বালু খেকোরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় নদীর দু’পাড়ে বসবাসরত দরিদ্র পরিবারগুলো তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। এদিকে প্রভাবশালী ফরজ আলী দীর্ঘদিন যাবৎ নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে জমিয়ে ভেকু দিয়ে ট্রাক ভর্তি করে বিক্রি করে শূন্য থেকে কোটিপতি হয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে দু-একটি ড্রেজার পুড়িয়ে দিলেও অল্পক্ষণ পরেই পুনরায় মেশিন স্থাপন করে পুনরুদ্দমে তাদের এ ব্যবসা পরিচালনা করে। সরেজমিনে মাটি বিক্রির এ মহোৎসব দেখে মনে হয় এসব প্রতিহত করার যেন কেউ নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাসরত কয়েকজন জানায়, আমাদের বসতবাড়ীগুলো বিলীন হয়ে যাওয়ার সার্বক্ষণিক শঙ্কায় রয়েছি আমরা। তাদের অভিযোগ সকল বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন ও এলেঙ্গার পৌর ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে তাদের এ অবৈধ ড্রেজার দীর্ঘদিন যাবৎ চালিয়ে আসছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ড্রেজার মেশিন বসিয়ে পাইপ লাগিয়ে বালু উত্তোলন ও ভেকু দিয়ে ট্রাক ভর্তি করে বিক্রি করা হয়। অথচ ২০১০ সালের বালু মহাল আইনে বলা আছে বিপননের উদ্দেশ্যে কোন উন্মুক্ত স্থানে ও নদীর তলদেশ থেকে বালু মাটি উত্তোলন করা যাবে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাসরত কয়েকজন জানায়, আমাদের বসতবাড়ীগুলো বিলীন হয়ে যাওয়ার সার্বক্ষণিক শঙ্কায় রয়েছি আমরা। তাদের অভিযোগ সকল বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন ও এলেঙ্গার পৌর ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে তাদের এ অবৈধ ড্রেজার দীর্ঘদিন যাবৎ চালিয়ে আসছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ড্রেজার মেশিন বসিয়ে পাইপ লাগিয়ে বালু উত্তোলন ও ভেকু দিয়ে ট্রাক ভর্তি করে বিক্রি করা হয়। অথচ ২০১০ সালের বালু মহাল আইনে বলা আছে বিপননের উদ্দেশ্যে কোন উন্মুক্ত স্থানে ও নদীর তলদেশ থেকে বালু মাটি উত্তোলন করা যাবে না।
কিন্তু এ নির্দেশনাগুলোর কোন তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন ফরজ আলী ড্রেজার চালিয়ে উত্তোলন করছে বালু হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা।
এলাকাবাসী জানায়, বালু উত্তোলণের ব্যবসা বন্ধের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বারবার জানালেও তা বন্ধ হয়নি। শুধুমাত্র ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হলে ওই কয়েকদিন বালু উত্তোলনের কার্যক্রম বন্ধ থাকে, সুযোগ বুঝেই তা পুনরায় চালু হয়।
এ ব্যাপারে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত দেবনাথ বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
⇘সংবাদদাতা: মনির হোসেন
এ ব্যাপারে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত দেবনাথ বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
⇘সংবাদদাতা: মনির হোসেন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।