ভূঞাপুরে হাঙ্গার প্রজেক্ট থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মমূখী হচ্ছে নারীরা

S M Ashraful Azom
0
ভূঞাপুরে হাঙ্গার প্রজেক্ট থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মমূখী হচ্ছে নারীরা

অভিজিৎ ঘোষ, ভূঞাপুর সংবাদদাতা: তাসলিমা, রোজিনা এবং বেলি খাতুনের মত অনেক নারীরাই দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন কর্মমূখী হচ্ছে। হাজার প্রজেক্ট থেকে সপ্তাহখানে পাট দিয়ে বিভিন্ন ধরনের শোপিচ তৈরি করার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তারা। 

এরপর নিজেরাই বাড়িতে বসে বিভিন্ন পণ্য তৈরি একদিকে যেমন আয় রোজগার করছে অন্যদিকে তাদের দেখে এলাকার অনেক বেকার নারীদের মাঝে উৎসাহ জাগছে।

এরআগে উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নে ১৪জন ও নিকরাইল ইউনিয়নে ১২জন নারীকে সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ। হাঙ্গার প্রজেক্টের প্রশিক্ষক আফরিন জাহান রিক্তা প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন। 

প্রশিক্ষণে পাট দিয়ে ফ্লোর ম্যাট, টেবিল ম্যাট, নৌকা, ঘোড়া, জিরাফ, হাতপাখা, পাপোস, কলম দানী, গ্লাস ম্যাট, ঝুড়ি, পার্সসহ বিভিন্ন ধরনের শোপিচ তৈরি হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এতে ২৬জন নারী প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন নিজেরাই ঘরে বসে পাট দিয়ে তৈরি করছে বিভিন্ন ধরনের শোপিচ। 

এগুলো বিক্রি করে আয়-রোজগার যেমন করছে অন্যদিকে এর চাহিদা বেড়েছে বহুগুনে। এছাড়া তাদের এই শোপিচ তৈরিতে পার্শ্ববর্তি অনেক বেকার নারীরা সেগুলোর প্রশিক্ষণ ও তৈরির দিকে উৎসাহ বাড়ছে।

অলোয়া ইউনিয়নের প্রজেক্ট থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মিমি ও স্বপ্না বলেন, প্রশিক্ষণে অনেক কিছু শিখেছি। পাট দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিষ তৈরি করা যায় আগে ভাবিনি। এখন নিজেই পাট দিয়ে অনেক কিছু তৈরি করতে পারি। আমাদের দেখে অনেক মেয়েই এগিয়ে আসছে শিখতে। বাড়ি বসেই এগুলো তৈরি করে সেগুলো বিভিন্ন জায়গা বিক্রি করছি।

নিকরাইল ইউনিয়নের তাসলিমা খাতুন বলেন, সামনে নির্বাচন তাই নৌকা তৈরি করছি পাট দিয়ে। কারণ এখন এর চাহিদা বেশি। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের জিনিষ তৈরি করছি। পার্শ্ববর্তি অনেক বিবাহিত-অবিবাহিত মেয়েরা শিখতে আসছে কিভাবে তৈরি করা যায় পাট দিয়ে পণ্যগুলো।

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট-বাংলাদেশ এর প্রশিক্ষক আফরিন জাহান রিক্তা বলেন, স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এই নারীদের প্রশিক্ষণগুলো দেয়া হয়েছে। এখন তারা নিজেরাই কর্মমূখী হচ্ছে। তাদের দেখে অন্যদের আগ্রহ বাড়ছে। পাট দিয়ে অনেক দামী জিনিষ তৈরি করা হয়। এর চাহিদা বাজারে অনেক বেশি। লাভও হচ্ছে পাট দিয়ে তৈরি করা পণ্যগুলো বিক্রি করে।

উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকার জানান, নারীদেরকে যেভাবে হাতে-কলমে কাগজে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তারা যদি এই প্রশিক্ষণ কাজে লাগাতে পারে তাহলে একজন নারী বাড়িতে বসেই অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবে। এই উর্পাজিত টাকা দিয়ে তাদের সংসার চলবে। এছাড়া নারীদের বেকার সমস্যার সমাধান সম্ভব।
⇘সংবাদদাতা: অভিজিৎ ঘোষ
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top