
কালিহাতী প্রতিনিধি: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে দেখা করে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন টাঙ্গাইল-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
আজ ২৩ ডিসেম্বর রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এসে সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংসদ। পরে সাংবাদিকদের কাছে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।
লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘ইলেকশনটাতো বাণিজ্য নয়। আমি জীবনে অনেক ইলেকশন করেছি। ১৯৭০ সাল থেকে শুরু করেছি আজকে ২০১৮ সাল। এরকম নির্বাচন আমার এলাকায় আমি জীবনেও দেখিনি। আমি আর শাহজাহান সিরাজ ছিলাম দুই প্রতিপক্ষ।
লতিফ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ১৯৭০, ১৯৭৩, ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে টাঙ্গাইল-৪ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ থেকে ২০০৮ সালে নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রীও হন। ২০১৪ সালে নিউইয়র্কে একটি সভায় ধর্মীয় বিষয়ে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ এবং দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এতে আসনটি শূন্য হওয়ার পর ২০১৭ সালের জানুয়ারির উপনির্বাচনে হাসান ইমাম খান সাংসদ নির্বাচিত হন। হাসান ইমাম খান এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘এখনতো আর প্রত্যাহারের সুযোগ নেই। তাই আমি সরে দাঁড়ালাম। আমি নিরীহ মানুষকে আহত, নিহত হওয়ার সুযোগ কেন করে দেব? যারা আহত নিহত হবে। তাদের দায় আমাকে নিতে হবে। আমি সেই দায় নেব না। আমি এত বড় বীর পুরুষ হতে চাই না। এটা স্বাধীনতা যুদ্ধ না যে, মুখোমুখি লড়াই করব। যার সঙ্গে লড়াই করব সে আমারই কর্মী কিংবা কর্মীর সন্তান। আমি কেন যাব এই ধরনের হানাহানিতে? যদি নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে না পারে।’
প্রত্যাহার নিয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে কি বলা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কিছুই বলা হয়নি। আমিতো তাঁর কাছে শুনতে চাই নাই। আমি বলেছি এক মিনিট আপনার সঙ্গে দেখা করে চিঠি দিয়ে চলে যাব।’
⇘সংবাদদাতা: কালিহাতী প্রতিনিধি
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।