জামালপুর প্রতিনিধি ॥ জামালপুর শহরের দাপুনিয়ায় পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের নির্যাতনে গুরুতর আহত ওষুধের দোকান কর্মচারী সাব্বির রহমান (২২) ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃত সাব্বির জামালপুর পৌরসভার দাপুনিয়া এলাকার মো. বদিউজ্জামানের ছেলে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাব্বির রহমান জামালপুর শহরের স্টেশন রোডে ওষুধের দোকান সিটি মেডিক্যাল হলের দোকান কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। ৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাব্বির তার কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশে বাসা থেকে বের হচ্ছিলেন। এ সময় তার ছোট ভাই তাসলিম (২) ও তার সৎ চাচা হারুন অর রশিদের ছেলে হাসিব (২) মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এ নিয়ে সাব্বির কথা বলতে গেলে তার চাচা হারুন অর রশিদ এবং হারুন অর রশিদের বড় দুই ছেলে হাসান ও হোসাইন সাব্বিরকে মারধর করে। তারা ইট দিয়ে ঢিল ছুঁড়ে এবং লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে সাব্বির গুরুতর আহত হয়। পরে স্বজনরা সাব্বিরকে দ্রুত জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বেলা একটার দিকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সাব্বির মারা যান।
সাব্বিরের বাবা মো. বদিউজ্জামান জানান, তার ছেলে সাব্বিরের মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ জামালপুরে আনা হয়। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা দায়ের করবেন বলেও জানিয়েছেন।
⇘সংবাদদাতা: জামালপুর প্রতিনিধি
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।