
গাইবান্ধা প্রতিনিধি: বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত আওয়ামীলীগ প্রার্থী ডাঃ মোঃ ইউনুস আলী সরকার তার প্রাপ্ত ভোট নৌকা- ১ লক্ষ ২১ হাজার ১ শত ৬৩ তার প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী জাতীয় পার্টি ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী তার প্রাপ্ত ভোট ২৪ হাজার ৩ শত ৮৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানের রয়েছেন। জাসদ প্রার্থী খাদেমুল ইসলাম পেয়েছেন ১১ হাজার ৬ শত ৩০ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। প্রাপ্ত ফলাফলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতাকারী প্রাথীদের সকলের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
গাইবান্ধা-৩ আসনের সংসদ নির্বাচনে ১৩২টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২ টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফল নৌকা- ১ লক্ষ ২১ হাজার ১ শত ৬৩, লাঙ্গল- ২৪ হাজার ৩ শত ৮৫, মশাল- ১১ হাজার ৬ শত ৩০, আম- ৫ শত ৪৪, সিংহ- ১ হাজার ৪৮ ভোট। মোট ৪ লক্ষ ১১ হাজার ৮ শত ৪১ জন ভোটারের মধ্যে নির্বাচনে বৈধ ভোট পড়েছে পলাশবাড়ী উপজেলায় ৮৩ হাজার ২ শত ৯৪ ভোট ও সাদুল্যাপুরে ৭৭ হাজার ১ শত ২০ ভোট শতকরা ভোট পড়েছে-৩৪.২৯%।
একাদশ জাতীয় সংসদ স্থগিত গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ি) আসনে ঘোষিত পুন: তফসিল অনুযায়ি গতকাল রোববার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। জাপা (জাফর) মনোনীত ঐক্যফন্ট প্রার্থী ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী গত ২০ ডিসেম্বর মারা গভীর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে নির্বাচন কমিশন ওই আসনের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন।
গাইবান্ধার সহকারি রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, রোববার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।এখন পযন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে নৌকা প্রতিকে ব্যাপক ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছে । ভোট গ্রহন কালিন সময়ে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
আসনটির দুই উপজেলার ১৩২টি কেন্দ্রে এ ভোট গ্রহণ করা হয়। এতে ২ হাজার ৫ শত পুলিশ সদস্য, বিজিপি ২০ প্লাটুন, র্যাব ২০ প্লাটুন ও ১ হাজার ৫৮৪ জন আনসার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল।
সাদুল্যাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলার বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, শুরু থেকে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতির সংখ্যা বাড়তে থাকে। দুই একটি কেন্দ্র ছাড়া অধিকাংশ কেন্দ্রেই ভোটারদের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়েনি। তবে ভোট গ্রহণের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অব্যাহতভাবে ভোটাররা কেন্দ্রে ভোট দিতে আসে। তবে পুরুষ ভোটারের চেয়ে মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়।
রিটার্নিং অফিসার ও গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মতিন সাংবাদিকদের জানান, কোথাও থেকে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ভোট গণনার পর ভোট প্রয়োগের হার সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
অন্যদিকে ব্যাপক ভোটে নিজের পরাজয় নিশ্চিত জেনে জাসদ মনোনীত প্রার্থী খাদেমুল ইসলাম খুদি মিথ্যা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, এ নির্বাচনে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাঁরা হলেন- মহাজোটভুক্ত আ’লীগ প্রার্থী ডাঃ ইউনুস আলী সরকার (নৌকা), জাপা (এ) প্রার্থী দিলারা খন্দকার (লাঙ্গল) ও জাসদ প্রার্থী এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি (মশাল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মিজানুর রহমান তিতু (আম) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো. জাহিদ (সিংহ)। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডাঃ ইউনুস আলী সরকার তার নিজ ভোট কেন্দ্র ভাতগ্রাম স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে সকাল ৮টায় ভোট প্রদান করেন।
এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রাথী দিলারা খন্দকার পলাশবাড়ী টাউন হল মহিলা ভোট কেন্দ্রে এবং জাসদ প্রার্থী এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি সাদুল্যাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের আলদাতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।