
গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা পলাশবাড়ী উপজেলায় জেলার কৃষক উৎপাদনে পিছিয়ে নেই। পিছিয়ে নেই কাজ কর্মে। সরকারের কৃষি কাজে ব্যাপক সহযোগীতার কারণে খাদ্য সহ শষ্য সবজি এগিয়ে। দোড়গোড়ায় সার কীটনাশক পাচ্ছে কৃষকগণ ।
উৎপাদন সময়ে ব্যাপক আমদানি থাকায় এসব পন্য গুলো হাটবাজারে দাম ওঠা,নামা করলেও কৃষক উৎপাদন বন্ধ করে না। হাটবাজারে এখনো ফুলকপি ১০টাকা কেজি। মরিচ ৩৫/৪০ টাকা কেজি। পেঁয়াজ ১৮/২০ টাকা কেজি, টমেটো ২০টাকা, আলু ১৫/২০টাকা, বাধা কপি পিচ বা কেজি ১০টাকা, শাক/সবজি অত্যন্ত কম মুল্য।
বাজারে বিষেশ করে চলতি শীত মৌসুমে বিভিন্ন সবজি কৃষক উৎপাদন করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করছে। উপজেলা কৃষি জমির উপর ঘরবাড়ী, ইট ভাটা, সহ বিভিন্ন বাধা বিগ্ন সর্তেও কৃষক উৎপাদনে অলসতা নেই। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়। আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। মূল্য মোটামোটি কৃষকের নাগালের মধ্যে।
সরকার ৩৬ টাকা দরে চাল ক্রয় করছে। চলতি মৌসুমে আলু ৮০০ হেক্টর, ভুট্টা ১০৫০হেক্টর, সরিষা ৪৮০ হেক্টর, গম ৫০ হেক্টর, বোর আউশ বীজ তলা ৭৬৫ হেক্টর ও সবজি ৫৬০ হেক্টর জমিতে কৃষক চাষ আবাদ করছে। বাজারে নতুন আলু এসেছে । এসেছে নিত্তনতুন শাক, শবজি । মোট ১৪৪৪৮ হেক্টর জমিতে এসব সষ্য উৎপাদনে ব্যতিব্যস্ত।
উপজেলায় অর্ধশত তিন ফসলি জমির ইট তৈরির ভাটা হয়েছে। প্রতিটি ইট ভাটায় ২৫ থেকে ৩০ বিঘা জমি ব্যবহার হচ্ছে। লাগাম হিন এই সব ইট ভাটা শুধু কৃষকদের ক্ষতি করছে না- ক্ষতি করছে ফল ফলান্তির গাছ গুলোর।
বেশ কিছু আবাসিক এলাকায় ইট ভাটা তৈরি হওয়ায় ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে পরিবার গুলো। ইট তৈরির জন্য কৃষি জমি থেকে টক সয়েল (জমির উপরিভাগের মাটির অংশ) নিয়ে যাওয়ায় মারাত্তক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে কৃষকগণ। সরকারের কাছে এসব বিষয়ে সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।
⇘সংবাদদাতা: আশরাফুল ইসলাম

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।