
হাসান বাপ্পি, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি ॥ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের আমিন পাড়া এলাকায় তিন বছর আগে চাহিদা অনুযায়ি টাকা দিয়েও বিদ্যুতের নতুন সংযোগ পায়নি ১৫টি হিন্দু পরিবার। ভুক্তোভোগীরা হলেন- ওই এলাকার ভুপেন, বিরেশ, কলেন, দ্বিলীপ, মধুসুদন, পলাশ, অনু, বিপ্লব, ভাঙ্গা, নিপেন, আজাদ, বিশু, বচাই, মহেশ ও প্রেম লাল।
অভিযোগ উঠেছে পল্লী বিদ্যুতের রায়পুর এলাকার সাবেক আঞ্চলিক পরিচালক রেজাউল করিম (রাজু মাস্টার) ও ওয়্যারিং ম্যান আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে।
বর্তমান সরকারের ঘোষণা অনুযায়ি সরকারী খরচে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার কার্যক্রমকে ধ্বংস করতে একটি চক্র অর্থের লোভে সাধারন মানুষকে প্রতারিত করছে বলে জানাযায়।
বিদ্যুৎ অফিসে মাত্র ৪শ ৫০ টাকা মিটারের জামানত দিয়ে বিদ্যুতের নতুন সংযোগ মিললেও সে অফিসের নাম ভাঙ্গিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি।
বিরেশ বলেন, ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে তখনকার পরিচালক রাজু মাস্টারের সাথে বিদ্যুতের নতুন সংযোগের জন্য ৭ হাজার টাকা করে প্রতি মিটারের জন্য চুক্তি হয়। সে সময় তাকে টাকা দেবার পরে ২০১৮ সালের জুন মাসে নতুন পিলার বসিয়ে তার লাগানো হয়। এর পরে বিদ্যুতের বাল্বে আলো জালানোর জন্য নতুন করে ২২শ টাকা করে চুক্তি করিয়ে নেয় আমাদের। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি যে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আমাদের মিটারের টাকাই নাকি পরিশোধ করা হয়নি এখনো। সরকারী খরচে নতুন লঅইন নির্মান হলেও আমাদের নানা ভাবে বুঝিয়ে টাকা নিয়েছে তারা। টাকা নিয়েছে তাতে দুঃখ নাই ,কিন্তু তাতেও যদি বিদ্যুতের সংযোগ পেতাম আমরা।
ভুক্তোভোগী কলেন বলেন আজ হবে কাল হবে করে তারা দীর্ঘ তিনটা বছর পার করে ফেললো। রাজু মাস্টার বলেছিল গত দূর্গা পূজার আগেই নতুন সংযোগ পাবো আমরা। এভাবে ছেলে মেয়েরাও লেখাপড়া করতে পারছেনা আর আমাদেরও নানা সমস্যা হচ্ছে। টাকা নিয়ে তারা এখন ফোনটাও রিসিভ করেনা। সংখ্যালঘু বলে জোড় করতেও পারছিনা আমরা।
এদিকে ওয়্যারিং ম্যান আব্দুল কুদ্দুস জানান, ২২শ টাকা নিয়ে ১৫শ টাকার মালামাল দিয়ে ওয়্যারিং করে দিয়েছি। এলাকা পরিচালক রাজু মাস্টার বিদ্যুতের নতুন পিলার আনলেও ট্রান্সফরমার না লাগানোর কারনে অফিসে টাকাও জমা দিতে পারছিনা। আমি যে পরিমান টাকা নিয়েছি তাতে কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত আমাদের বরং লোকশানই হবে।
রায়পুর এলাকার সাবেক আঞ্চলিক পরিচালক রেজাউল করিম (রাজু মাস্টার) এর সাথে ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যাবস্থাপক আবু আশরাফ শাহ বলেন, সরকারী গোষণা অনুযায়ী সরকারী খরচে ফ্রিতে লাইন নির্মান করে শুধু মাত্র ৪শ ৫০ টাকা মিটারের জামানত নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। সাধারন মানুষেরা দালালের খপ্পরে পরে প্রতারিত হচ্ছে। আমরা অভিযোগ পেলে প্রযোজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।
⇘সংবাদদাতা: হাসান বাপ্পি
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।