
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের কবিরাজ মাসুদ মিয়ার গাছ গাছরার তৈরী ওষুধ খেয়ে ডায়াবেটিস রোগীর ডায়াবেটিস স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে এবং তার তৈরী ওষুধ খেয়ে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত রোগীও ভাল হচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এতে করে ডায়াবেটিস ও প্যারালাইসিস রোগীদের এ ওষুধ খাওয়ার প্রবনতা বাড়ছে। এছাড়াও উপকারভোগী রোগীদের প্রচারণায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ডায়াবেটিস রোগীরা ভীড় করছেন টাঙ্গাইলের মাসুদ মিয়ার কাগমারী কলেজ মোড়স্থ বাড়িতে।
কবিরাজ মাসুদ মিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে গাইবান্ধা সদর উপজেলার মিয়া পাড়ার মৃত আব্দুল বাছেদ মিয়ার ছেলে আব্দুল খালেক জানান, গত ৪ বছর আগে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হন তিনি। তার ডায়াবেটিস ১৭/১৮ পয়েন্টে থাকতো। নিয়মিত ইন্স্যুলেন্স ব্যবহার করতে হতো। এরই মধ্যে ব্রেইন স্ট্রোক হয় তার। এতে তার শরীরের ডান পাশ অবশ হয়ে যায়। পরবর্তীতে টাঙ্গাইলের মাসুদ মিয়ার গাছ গাছরার তৈরী ওষুধ মালিশ করে অবশ হওয়া শরীরের আরোগ্য লাভ করি।
এছাড়াও তার গাছ গাছরার তৈরী ওষুধ সেবন করে ডায়াবেটিস স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রনে চলে এসেছে। বর্তমানে আমি পুরোপুরি সুস্থ্য জীবন যাপন করছি বলেও জানান তিনি। একান্ত সাক্ষাৎকারে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার সন্তোষ গ্রামের মৃত আবুবক্কর মিয়ার ছেলে মোঃ আশরাফ মিয়া জানান, গত দুই বছর যাবৎ প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় পড়েছিলেন তিনি। তার শরীরের ডান পাশে হাত থেকে পা পর্যন্ত অবশ হয়ে পড়েছিল। অনেক চিকিৎসা করেও কোন ফল হয়নি। পরে মাসুদ মিয়ার গাছ গাছরার তৈরী ওষুধ মালিশ করে তিনি আজ সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক কাজ কর্ম করতে পারছেন।
এছাড়াও কবিরাজ মাসুদের চিকিৎসা গ্রহণে যারা মোটামোটি সুস্থ রয়েছেন তাদের পরিচয় ও মুঠোফোন নম্বর গুলোর অন্যতম, ২১ দিনের ওষুধ খেয়ে বর্তমানে ভাল আছেন সৈয়দপুর সুনামগঞ্জের কাজীবাড়ি গ্রামের সৈয়দ হুসবানুর রহমান (০১৭১৫৬৪২১০৩) এবং একই উপজেলার সৈয়দ আহম্মদ আলী। ৮৪ দিনের ওষুধ খেয়ে বর্তমানে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রয়েছে ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার বিশ্বজিত (০১৭১০৬৬২৮৯০), ঢাকা মীরপুরের মো. মনির হোসেন (০১৯২৩৫৪২৩৫৪)। ভোলা জেলার চরফেশনের মো. মাসুদ রানা (০১৭১৫২৭৫৩৫৫), ৬৩ দিন ধরে ওষুধ সেবন করে ভাল আছেন ঢাকার আবুল হোসেন (০১৯১২৮১২২৭০)। ১২৬ দিনের ওষুধ খেয়ে ভাল আছেন ঢাকা মেরুল বাড্ডার মো. কবির হোসেন খান (০১৭৫৭৬০৩৬১৩) ।
এ প্রসঙ্গে কবিরাজ মাসুদ মিয়া জানান, ২০০৬ সাল থেকে এ চিকিৎসা সেবা শুরু করেছেন তিনি। গাছ খাদ্য,পুষ্টি ও ওষুধ ব্যক্তি এ জ্ঞান থেকেই তার এই চিকিৎসা সেবা পরিচালিত হচ্ছে। তিনি গাছের মূল, ছাল, লতা, পাতা, ফুল আর মধু দিয়ে তৈরী করছেন এ সকল ওষুধ। বিভিন্ন প্রকার ওষুধি গাছ-গাছরা দিয়ে তৈরী করা বড়ি, ফাঁকি ওষুধ ও শরবত আকারে ২১দিনের কোর্স করে একটি ফাইল দেয়া হয়। ডায়াবেটিস এ ওষুধ তৈরী বাবদ ২১দিনের প্রথম ফাইলের মূল্যে ৩৭০০ টাকা, ২১দিনের দ্বিতীয় ফাইল ২২০০, ২১দিনের তৃতীয় ফাইল ১৭০০, ২১দিনের চতুর্থ ফাইল ১২০০ ও ২১দিনের পঞ্চম ফাইল ১২০০ টাকা। এভাবে পরপর ৫ ফাইল ওষুধ সেবন করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আর এই নিয়ন্ত্রণ চিরজীবন ধরে রাখতে শুধু পানির সাথে মধু মিশিয়ে খেতে হবে। এতেই স্থায়ীভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকবে।
তিনি জানান, ওষুধি গাছ-গাছরা চাহিদা অনুযায়ী সংগ্রহ করতে না পারায় রোগীদের কাঙ্খিত চিকিৎসা সেবা দিতে পারছিনা। তবে চিকিৎসায় ব্যবহৃত এ সকল ওষুধি গাছ-গাছরার চাষ করতে পারলে সকল ডায়াবেটিস রোগীদের অল্প খরচে চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হত। বর্তমানে তার গাছ-গাছরার তৈরী মালিশ দ্বারা প্যারালাইসিসে আক্রান্ত অনেক রোগী ভাল হচ্ছেন বলেও জানান তিনি। এছাড়াও তিনি বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা, হাড় জোড়া, শরীরে পানি আসা, জন্ডিস, পাইলস্, নতুন ও পুরাতন আমাসয়সহ কয়েকটি চিকিৎসা বিনামূল্যে করছেন বলেও জানান তিনি। যোগাযোগের জন্য কবিরাজ মাসুদ মিয়ার ব্যবহৃত মুঠো ফোন নম্বর- ০১৮৪৯-১৩৮৫৫৮ ও ০১৭৪৫-৫৯৩০৯০।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।