টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রায় ২০ দিন ধরে আটকে রেখে দশম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোববার রাতে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরই রাতেই অভিযুক্ত মজিবর রহমান (৪২) ও তার স্ত্রী আমেনা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের ধলীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে সোমবার সকালে গ্রেফতারকৃত মজিবুরকে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মজিবুর রহমান ওই ছাত্রী মাদ্রাসা যাওয়ার পথে কুপ্রস্তাব দিতো। ছাত্রীটি ওই কুপ্রস্তাবে রাজি হয়নি। তবে এরপরই গত ২৪ ডিসেম্বর ওই ছাত্রী উপজেলার কালিয়া বাজারে কেনাকাটার জন্য গেলে নিখোঁজ হয়। মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, মজিবর কালিয়া বাজার থেকে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাকে আটকে রেখে জোর পূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়।
ওই ছাত্রীর মা জানান, ‘অভিযুক্ত মজিবর প্রতিবেশি হওয়ায় আমার মেয়েকে তার প্রবাসী ছেলের বউ করার জন্য নানাভাবে প্রস্তাব দেন। তবে ওই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে তাকে জানানো হয়েছিল, মেয়েকে আরও পড়াশোনা করিয়ে উচ্চ শিক্ষিত করাবো। তবে এ ক্ষুব্ধ ওই লম্পট আমার মেয়ের সর্বনাশ করে দিয়েছে। আমার মেয়ের শরীর আর মনের ওপর দিয়ে যা গেছে, তার নিরাময় কে করবে? আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।
এ প্রসঙ্গে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন জানান, মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পরে সোমবার সকালে মজিবরকে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ওই ছাত্রীকে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও নিখোঁজ ছাত্রীটির পরিবারের ধারণা মজিবর আটকে রেখে স্কুল ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে।
⇘সংবাদদাতা: টাঙ্গাইল প্রতিনিধি


খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।