ব্রীজের অভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মিয়ারচরের মানুষ

S M Ashraful Azom
0
ব্রীজের অভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মিয়ারচরের মানুষ

শফিকুল ইসলাম, রৌমারী প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় ব্রীজের অভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে মিয়ারচরের মানুষ একটি ব্রীজের অভাবে চর চরশৌলমারী, মিয়ারচর, দাঁতভাঙা, হাজিরহাট, টাপুরচরসহ ৮টি গ্রামের মানুষ যাতায়াতের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্বাধীনতার চার যুগ পার হলেও উপজেলার ৬নং চরশৌলমারী ইউনিয়নের মিয়ারচর গ্রামে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচন আসলে প্রতিশ্রুতি শেষ থাকেন। নির্বাচন শেষ হলে তারা এলাকায় আর আসেন না। মিয়ার চর ও মশালের চর গ্রাম নিয়ে ৫নং ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১৪২১।

নতুন ভোটার সংখ্যা ৩৫৬ জন (জরিপ ২০১৮)। এ গ্রামের সাধারণ মানুষ কৃষির উপর নির্ভর। প্রতি বছর বন্যার পানিতে ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এ সময়  কাজের সন্ধানে চলে যায় ঢাকা, টাঙ্গাইল, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নবাবগঞ্জসহ অন্যান্য জেলায়। মিয়ারচরের মানুষ তাঁত শিল্পের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।

ওই ইউনিয়নে ১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ১টি বাজার, ১টি আরডিআরএস (বাংলাদেশ) প্রকল্পের শাখা অফিস ও ১টি কলেজ রয়েছে।

মিয়ারচর গ্রামের শিক্ষার্থীরা চরশৌলমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরশৌলমারী উচ্চ বিদ্যালয়, চরশৌলমারী ডিগ্রি কলেজ, চরশৌলমারী মহিলা কলেজ, চরশৌলমারী আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা ও কিন্ডারগার্ডেন এ পড়াশোনা করে। শিক্ষার্থীসহ এলাকার মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে হলহলিয়া নদীর উপর বাঁশের সাকোঁ পার হয়ে যাতায়াত করতে হয়।

বন্যার সময় বাশেঁর সাকোঁ ভেঙ্গে গেলে নৌকা দিয়ে যেতে হয়। বন্যার সময়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। এ গ্রামের রাস্তাটিও বেহালদশা। পায়ে হেটেঁ যাতায়াত করতে হয় সারা বছর। মিয়ারচর গ্রাম থেকে রৌমারী উপজেলা সদরের দূরত্ব প্রায় ১৩কিলোমিটার।

২০০৭ সালের মার্চ মাসে মিয়ারচর হলহলি নদীতে ব্রীজ নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অধিদপ্তর ও ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ মাটি পরিক্ষা করেন।
কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য রুহুল আমিন ব্রীজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও শেষ পর্যন্ত সেদিকে নজর দেননি তিনি। 

৬নং চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান কেএম ফজলুল হক বলেন, হলহলি নদীর ব্রীজটি নির্মাণের দাবীতে উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কার্য্যকরি কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রাককলন প্রস্তবানা তৈরি করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্রবস্তা গ্রহন করা হবে।

তবে ব্রীজটি হলে ওই এলাকার মানুষ টাপুরচর হয়ে রৌমারী সদরে যাতায়াত করতে পারবেন মাত্র  ৩০মিনিট ।


⇘সংবাদদাতা: শফিকুল ইসলাম

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top