ওয়াসিম হায়দার, লোহাগাড়া প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার সিএনজি চালক আবদুল মোনাফ (৩৮) খুনের রহস্য উদঘাটন হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় লোহাগাড়া কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এতথ্য জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ঠাকুরদিঘীর দক্ষিণ-পূর্ব পাশে ক্ষেতের জমিতে সিএনজি চালক আবদুল মোনাফ নির্মমভাবে খুনের শিকার হয়।
পরদিন সকালে সংবাদ পেয়ে লোহাগাড়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে অটোরিক্সা চালকের স্ত্রী খতিজা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে এজাহারনামা দায়ের করেন।
ওসি সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বিকৃত যৌনরুচির কারণে অটোরিক্সা চালক আবদুল মোনাফ খুন হয়েছে। আসামি মিজানুর রহমান সাহেদ ও খোরশেদ আলম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক আবদুল মোনাফ গ্রেপ্তারকৃত সাহেদের সঙ্গে যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হয়। টের পেয়ে আসামি খোরশেদ আলম ও মো. হাসান তাদেরকে অনুসরণ করে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামিরা শ্বাসরোধসহ মারাত্মকভাবে আঘাত করলে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যায়। পুলিশ তিন আসামিকে পদুয়া তেওয়ারী হাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি যখন সাংবাদিকদের এই তথ্য দিচ্ছেন, তখন উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্যা, লোহাগাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জহির উদ্দিন ও খুনের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. নুরুন্নবী।
জানা গেছে, এই ঘটনায় জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুনের মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে রয়েছে লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া নয়া পাড়ার মিজানুর রহমান (১৭), পদুয়া মৌলভী পাড়ার খোরশেদ আলম (২৭) ও সাতকানিয়া উপজেলার দক্ষিণ ছদাহা বায়তুশরফ মুন্সিপাড়ার মো. হাসান (৩২)।
ওসি আরো জানান, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অটোরিক্সা চালক মোনাফের যৌন বিকৃতরুচির কারণে খুন হয়েছেন। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে দু’জন চট্টগ্রাম জেলা জৈষ্ঠ্য বিচারিক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
⇘সংবাদদাতা: ওয়াসিম হায়দার
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।