
বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জে ভূমি অফিসে গ্রাহক হয়রানি, বাড়তি টাকা নেয়া ও দালাল মুক্ত করতে ঘোষণা দিয়েছেন বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। সরকার নির্ধারিত ফি ১ হাজার ১৭০ টাকা দিয়েই নামজারি করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।
নামজারি করতে গিয়ে কোন গ্রাহক হয়রানির শিকার হলে কিংবা গ্রাহকের কাছে বাড়তি টাকা নিলে ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদা পারভীন। গত মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন ইউএনও।
বকশীগঞ্জে সঠিক কাগজপত্র থাকার পরও জমির নামজারি (খারিজ) করতে গিয়ে গ্রাহকদের চরম ভোগান্তি দীর্ঘদিনের। সরকারি সিদ্ধান্ত মতে ২৮ দিনের মধ্যে খারিজ পাওয়ার কথা থাকলেও মাসের পর মাস অফিসে ঘুরতে হচ্ছে গ্রাহকদের। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে নামজারি না হওয়ায় জনগণ জমি কেনাবেচা, ব্যাংকঋণ পাওয়াসহ বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এছাড়া জমির নামজারি করতে সরকার নির্ধারিত ফি মাত্র ১ হাজার ১৭০ টাকা। এরমধ্যে আবেদন সংযুক্ত কোর্ট ফি ২০ টাকা, নোটিশ জারি ফি ৫০ টাকা,রেকর্ড সংশোধন ফি ১০০০ টাকা ও খতিয়ান ফি ১শ’ টাকা। কিন্তু ভূমি অফিসের কতিপয় দুর্নীতি পরায়ণ ব্যক্তি ১ হাজার ১৭০ টাকার পরিবর্তে ৪/৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন। বিশেষ ক্ষেত্রে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়। এরপরেও নির্দিষ্ট সময়ে জমির নামজারি (খারিজ) পাননা গ্রাহকরা।
এ নিয়ে গত কয়েকদিন আগে ফেসবুকে উর্মি বাংলা প্রতিদিনের সম্পাদক আব্দুল লতিফ লায়ন নামজারি করতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া বিষয়ে পোস্ট দেয় এবং বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ১১৭০ টাকায় পাওয়া যাবে জমির নামজরি (খারিজ) এমন ঘোষণা দেন উপজেলা প্রশাসন। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে আনন্দিত হয় বকশীগঞ্জের সাধারণ মানুষ। তবে প্রশাসনের ঘোষনার দ্রুত বাস্তবায়ন চান তারা।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদা পারভীন বলেন, সরকার নির্ধারিত ফি দিয়েই জমির নামজারি করা যাবে। এছাড়া আবেদনের পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই জমির নামজারি (খারিজ) দেয়া হবে। যদি কেউ বাড়তি টাকা দাবি করে বা অযথা হয়রানি করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউএনও দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। ভূমি অফিসে নামজারির ক্ষেত্রে বাড়তি টাকা নেয়া ও গ্রাহক হয়রানি করলে ছাড় দেয়া হবেনা।
⇘সংবাদদাতা: বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি
গত ৫/৫/২০১৯ তারিখে আমার একটা জমির খারিজ এর জন্য গিয়েছিলাম আমার কাছে
উত্তরমুছুন৯০০০ হাজার টাকা চেয়েছে।
আমার দাদির নামে রেকড কিন্তু আমার দাদি মারা যাওয়ায় আমার বাবার জেঠার নামে কোন খারিজ করতে দিতেছে না সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস এর নায়েব
উত্তরমুছুন