
সেবা নিউজ ডেস্ক: জাতিসংঘ ব্রুনাইয়ে সমকামিতা ও ব্যাভিচারের শাস্তি হিসেবে পাথর ছুড়ে হত্যার আইন চালুর তীব্র সমালোচনা করেছে। এ ধরনের কঠোর ইসলামিক আইন বাস্তবায়ন মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করে তা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে এই বিশ্ব সংস্থাটি।
ব্রুনাইতে বুধবার সমকামিতা, বিবাহ বহিভূত যৌন সম্পর্ক এবং ধর্ষণের জন্য ওই কঠোর ইসলামিক শরীয়া আইন চালুর ঘোষণা দেন দেশটির সুলতান হাসানাল বোলকিয়া। একই সঙ্গে চুরির জন্য অঙ্গচ্ছেদের মত শাস্তিও চালু করেছেন তিনি।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস মনে করেন, যে কোনোখানে কোনোরকম বৈষম্য না করে প্রতিটি মানুষের জন্যই মানবাধিকার সমুন্নত রাখা উচিত। অনুমোদিত আইনটি এই নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন। প্রতিটি মানুষেরই স্বাধীনভাবে সমান মর্যাদা এবং অধিকার নিয়ে বাঁচার এখতিয়ার আছে। এ আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী, যে কোনো পরিস্থিতিতে পাথর ছোড়া, অঙ্গচ্ছেদ অথবা বেত্রাঘাত, আইনি সংস্থাগুলোর হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনসহ সব ধরনের শারীরিক শাস্তি নিষিদ্ধ।
নতুন আইনে স্বাক্ষর করলেও ব্রুনাই এখনো নির্যাতন ও অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক শাস্তির বিষয়ে ঘোষণাপত্র অনুমোদন করেনি।
জাতিসংঘ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ব্রুনাইয়ের এ নতুন শরীয়া আইনের ব্যাপক সমালোচনা করেছে। তারা ব্রুনাইকে এ আইন বাতিলে চাপ প্রয়োগ করার জন্য দেশটির সুলতানের মালিকানাধীন হোটেল বর্জনের ডাক দিয়েছে।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।