
বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে শিক্ষক মো. আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। গত ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ১৯ এপ্রিল শুক্রবার তাকে জামালপুর মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, শিক্ষক আরিফুর রহমান বকশীগঞ্জ উপজেলার বাট্টাজোর ইউনিয়নের পশ্চিম বাট্টাজোর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। উপজেলার ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক তিনি। তিনি বিবাহিত হলেও ওই বিদ্যালয়ের পেছনেই স্থানীয় টিক্কা মিয়ার বাসা ভাড়া নিয়ে একাই ওই বাসায় থাকতেন এবং শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়াতেন।
শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর ওপর তার কুনজর পড়ে। প্রাইভেট পড়ার সময় প্রলোভন দেখানো, তার ব্যক্তিগত কক্ষে যেতে বলা এবং ব্যাচে পড়া শেষে তাকে একা আরো পড়ানোর কথা বলে কিছুক্ষণ থাকতে বলাসহ নানাভাবে তাকে যৌননিপীড়ন করে আসছিলেন শিক্ষক আরিফুর রহমান। সর্বশেষ পহেলা বৈশাখ তিনি ওই ছাত্রীর মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে উত্যক্ত করেন। এতে করে ওই শিক্ষার্থী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
উত্যক্ত করার বিষয়টি ওই ছাত্রী তার বাবা-মায়ের কাছে খুলে বলে। এ ঘটনায় ১৮ এপ্রিল ওই বিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে শিক্ষক আরিফুর রহমানকে অপসারণসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ওই দিন বিকেলে তাকে আটক করে।
এদিকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ছাত্রীকে যৌননিপীড়নের অভিযোগে আটক শিক্ষক আরিফুর রহমানের বিষয়ে ২০ এপ্রিল বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। ওই সভায় তার বিরুদ্ধে করণীয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মাহবুব আলম বলেন, ‘ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে আটক শিক্ষক আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে যৌননিপীড়নের অভিযোগ এনে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামি আরিফুর রহমানকে ১৯ এপ্রিল সকালে জামালপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।