রৌমারী প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে এক গৃহবধুকে আটকে রেখে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ধর্ষণের ভিডিও চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয়। ধর্ষণের পর হুমকি দিয়ে বলা হয় এ কথা কাউকে জানালে ধর্ষণের ধারণ ভিডিও চিত্র ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হবে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার বিকালে রাজীবপুর কলেজ পাড়া গ্রামে।
নির্যাতিত গৃহবধু ধর্ষণের তথ্য তার পরিবারকে জানানোর পর বিক্ষুদ্ধ হয়ে এলাকাবাসি নজরুল ইসলাম (৪০) নামের এক ধর্ষককে আটক করে বেদম মারপিটের পর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
আরেক ধর্ষক সুজন মিয়া (২৮) পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধু বাদি হয়ে রাজীবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নির্যাতিতের ডাক্তারি পরীক্ষা ও ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে জবানবন্দির গৃহবধুকে গতকাল মঙ্গলবার কুড়িগ্রামে নিয়ে যায়। ধর্ষণের অপরাধে গ্রেপ্তারকৃত নজরুল ইসলাম রাজীবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক।
অপর ধর্ষক সুজন মিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের পুত্র। অভিযোগে জানা গেছে, নির্যাতিত গৃহবধু মোবাইল ফোনে রিচার্জ করার জন্য অভিযুক্ত নজরুল ইসলামের দোকানে গেলে সেখান থেকে মিথ্যা কথা বলে কলেজ পাড়ার একটি বাড়িতে নিয়ে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয়। এরপর অভিযুক্ত দু’জন পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের চিত্র ভিডিও ধারন করা হয়। নির্যাতিত গৃহবধুর স্বামী এরশাদ আলী একজন শ্রমিক। তিনি ট্রাক্টর গাড়ির চালক। তাদের বাড়ি দিনাজপুর জেলায়। রাজীবপুর সবুজবাগ গ্রামে একটি ভাড়া বাসায় থাকেন তারা।
এ ব্যাপারে রাজীবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্যাতিত জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
⇘সংবাদদাতা: রৌমারী প্রতিনিধি
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।