
সেবা ডেস্ক: গতকাল রোববার শ্রীলঙ্কায় তিনটি গির্জা ও তিনটি সনামধন্য হোটেলে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২৯০ জন ও আহত হয়েছেন কয়েক শতাধিক মানুষ। তারা প্রত্যেকেই খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব ইস্টার পালনের উদ্দেশ্যে গির্জায় জমায়েত হয়েছিলেন। খ্রিস্টান প্রধান এই দেশটিতে মোট জনসংখ্যার বড় একটা সংখ্যা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।
আর এদিকে শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলার ঘটনায় নিরাপত্তার খাতিরে দেশের প্রতিটি মসজিদে ও চার্চে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়। ধর্ম পালনের উদ্দেশ্যে দেশের প্রতিটি নাগরিককে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা পাড়ি দিয়ে উপাসনালয়গুলোতে প্রবেশ করতে হয়েছে।
গতকাল খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব ইস্টার সানডের পাশাপাশি ছিল মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সৌভাগ্যের রজনী শবে বরাত। এই রাতে দেশের সকল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় সারারাত ইবাদত বন্দেগী করেন। আর এই দুটি ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ দিন হওয়ায় দেশের নিরাপত্তার চাদরটা বেশি করে ঢেকে দেয়া হয়। চার্চের পাশাপাশি দেশের প্রতিটি মসজিদে নেয়া হয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা। একদিকে মানুষ তাদের ধর্ম পালন করেছেন অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সারারাত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে গেছেন।
এদিকে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দফতর থেকে রবিবার নিরাপত্তার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের সহকারী মহা-পরিদর্শক (এআইজি) মো. সোহেল রানা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পবিত্র শবে বরাত ও ইস্টার সানডে উপলক্ষে আগে থেকে নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ ছিল। শ্রীলঙ্কায় এই ভয়াবহ বোমা হামলার পর নতুন করে এবার এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
এ আইজি মো. সোহেল রানা আরও বলেন, পবিত্র শবে বরাত ও ইস্টার সানডেকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড না করতে পারে সেজন্য পুলিশ বাহিনী প্রস্তুতি রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হতে পারে। তবে এই দুই ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে কোন ধরনের হামলার হুমকি কিংবা আশঙ্কা নেই বলেও তিনি জানান।
⇘সংবাদদাতা: সেবা ডেস্ক

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।