
সেবা ডেস্ক: দেশের সোনা ব্যবসায়ীদের কাছে গচ্ছিত থাকা প্রতি ভরি অবৈধ সোনার জন্য আসছে ৩০ জুনের মধ্যে সরকারি কোষাগারে এক হাজার টাকা জমা দিলে তা বৈধ বলে বিবেচনা করা হবে। ভবিষ্যতে এসব সোনা নিয়ে সরকারি কোনো সংস্থা প্রশ্ন তুলবে না।
গত মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি খুলে প্রতি ভরিতে দুই হাজার টাকা রাজস্ব পরিশোধ করে প্রয়োজনমতো সোনা আমদানি করা যাবে। ডায়মন্ডের ক্ষেত্রেও একই সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট এনামূল হক খান কালের কণ্ঠ’কে বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তের ফলে দেশের প্রকৃত সোনা ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত হবে। নতুন আইন প্রয়োগের সঙ্গে চোরাই সোনা আসা বন্ধ করতে সরকারকে কঠোর হতে হবে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘এ দেশের সম্ভাবনাময় খাতের একটি সোনার ব্যবসা। এখানে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের সোনার যথেষ্ট কদর আছে। ব্যবসাটি আইনি কাঠামোয় আনতে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করছে। আশা করছি, আইনি কাঠামোয় আনা হলে বৈধভাবে সোনা আমদানি হবে। এতে এ খাত থেকে রাজস্ব বাবদ সরকার বড় অঙ্কের অর্থ পাবে।’
এনবিআর সূত্র জানায়, দেশে দৈনিক ১০ কোটি টাকার সোনার বাজার রয়েছে। অথচ গত পাঁচ-সাত বছরে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমতি নিয়ে এলসি খুলে এক তোলা সোনা আমদানি করা হয়নি। চোরাচালানে আনা সোনায় নির্ভর করে দেশে সোনা ব্যবসা চলছে। একই সঙ্গে ব্যাগেজ রুলে আনা সোনাও স্থানীয় বাজারের চাহিদার কিছু অংশ পূরণ করছে। সোনার রমরমা ব্যবসা হলেও সরকারি কোষাগারে রাজস্ব জমা পড়ছে নামমাত্র।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।