
সেবা ডেস্ক: ঈশ্বরদীর মাজদিয়া মাদ্রাসাপাড়া গ্রামের ছিপছিপে হালকা ও শ্যামলা-ফর্সা বর্ণের শিশু আসিফ। পরনে গেঞ্জি ও লুঙ্গি, পায়ে ছেঁড়া স্যান্ডেল। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জৈষ্ঠ্যের অসহনীয় রোদে বাঙ্গি বেচার অপেক্ষায় সে। তার ইচ্ছে, বাঙ্গি বেচে নিজের জন্য নয়, সহোদর বোনের নতুন জামা কিনবে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে দরিদ্র কৃষকের সন্তান আসিফের দেখা মিলে পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ওভারব্রিজ মোড়ে।
এসময় বাঙ্গি বিক্রির কারণ জানতে চাইলে ছোট্ট আসিফ জানায়, ঈদে সবার বোন নতুন জামা পরে বের হয়। তার বোনের নতুন জামা নেই। তাই ছোট বোন ইতির জন্য নতুন জামা কেনার আশায় এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে বাঙ্গি নিয়ে বিক্রি করতে এসেছে।
আসিফ জানায়, সে ঈশ্বরদীর মাজদিয়া মাদ্রাসাপাড়া গ্রামের কৃষক কুদ্দুস আলীর ছেলে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ে। তারা দুই বোন, এক ভাই। বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট বোন ইতি নতুন জামার জন্য বায়না ধরেছে। তাই তার বায়না মিটাতে সকালে মাদ্রাসা ছুটি পর বাঙ্গি বিক্রি করতে এসেছে।
প্রতিটি বাঙ্গি ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে বিক্রি করছে। তার মতো আর কয়েকজন শিশু বাঙ্গি বিক্রি করছে বলেও জানায় আসিফ। এসময় আসিফের পাশে আরও কয়েকজন শিশুকে দেখা যায়।
কিন্তু বাঙ্গি বেচে বোন ও নিজের জন্য জামা কিনতে পারবে তো আসিফ? আর যদি না পারে তাহলে কি আসিফ ও তার বোন ঈদের আনন্দ করতে পারবে?
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।