
শামীম তালুকদার: জামালপুরের বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জে তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। প্রচণ্ড গরমে সাধারণ ও কর্মজীবী মানুষেরা অস্বস্তিতে পড়েছেন। তাপমাত্রা জনিত কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
১২ জুন বুধবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে প্রচণ্ড তাপমাত্রা বাড়তে থাকে।
তীব্র তাপদাহে কয়েকদিন ধরে বকশীগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়নের বিভিন্ন হাট-বাজারে মানুষের সমাগম কিছুটা কমেছে। প্রচণ্ড গরমেই ব্যবসায়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধও রেখেছেন। প্রচণ্ড তাপদাহ থেকে একটু স্বস্তি পেতে কেউ কেউ গাছের তলে বাঁশের টং বানিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন। অনেকে আবার ঘন ঘন ঠান্ডা পানিতে গোসল করছেন। তাপদাহের প্রভাব পড়েছে সর্বত্র বিশেষ করে শিশু বাচ্চা,বয়স্ক ও বিভিন্ন শ্রমিক শ্রেণীর পেশাজীবীর। তীব্র গরম থেকে রেহাই পেতে বিভিন্ন ঠাণ্ডা পানীয় পান করে একটু প্রশান্তির খোঁজে সবাই। এক্ষেত্রে লেবুর শরবত সবচেয়ে ভালো বলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের এর প্রেসক্রিপশন।
গরমের প্রভাব পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের ওপর। অনেক অটো ভ্যান চালক,রিক্সা চালক,সিএনজি চালক গাড়ি নিয়ে বের হতে দ্বিধায় পড়ছেন। তবুও জীবন জীবিকার তাগিদে চলছে পথচলা।
ভ্যান চালক আমিনুল ইসলাম ও বশির জানান, জীবন-বাঁচার তাগিতে ভ্যান চালিয়ে আমাদের সংসার চলে। গত কয়েকদিন ধরে এত তাপদাহ সহ্য করার মত নয়। প্রচণ্ড গরমেই ভ্যান চালাচ্ছি। একটা করে ক্ষ্যাপ মেরে আবার গাছ তলায় ভ্যানের মধ্যেই বসে শুয়ে একটু দম নেই।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, আগামী দুই এক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমতে পারে বলে জানান তিনি।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।