
স্টাফ রিপোর্টার: আমি কর্মক্লান্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে ছিলাম। এমন সময় সে আমার কাছে এসে নেশা করার জন্য ১০হাজার টাকা দাবি করে। আমি দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় সে আমাকে চুলের মুঠি ধরে টান দিয়ে খাট থেকে নীচে ফেলে দেয়। তারপর আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে বুকের উপর কয়েকটি লাথি মারে। এক পর্যায়ে আমার গলা চেপে ধরে। আমার শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। বহু কষ্টে আমি চিৎকার উঠতে পারলে পাশের বাড়ি লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জামালপুর থানায় করা এজাহারে এভাবেই নিজের নেশাখোড় ছেলের নির্যাতনের বিবরণ দিয়েছেন এক গর্ভধারিনী মা। তিনি লিখেছেন এ ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও তার ওই ছেলে তাকে য়েকবার মেরেছে। নেশার টাকা না দিলেই সে তাকে এভাবেই মারধর করে।
বুধবার, মা রহিমা বেওয়া বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় মাদকাসাক্ত ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
এজাহারসূত্রে জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলার রনরামপুর গ্রামের ময়নাল হক ১০ বছর আগে মারা গেছেন। তিনি মৃত্যুর পূর্বে নিজের সম্পত্তি তার সন্তানদের মধ্যে সমহারে বন্টন করে গেছেন। স্ত্রী রহিমা বেওয়াকেও ২লাখ টাকা ও ৬ শতাংশ জমি লিখে দিয়ে গেছেন। তা দিয়ে কিছু হাঁস, মুরগি, গরু ছাগল লালন পালন করে চলেন বিধবা রহিমা। কিন্তু তার সন্তান আঃ বারেক একজন নেশাখোড়। দীর্ঘদিন যাবত সে মদ, গাজা, ইয়াবা ইত্যাদি মাদকদ্রব্য সেবন করে আসছে। ঘটনার দিন সোমবার মায়ের কাছ থেকে নেশার টাকা না পাওয়ায় সে উপরের ঘটনাটি ঘটায়।
এই ঘটনায় গর্ভধারিনী মা রহিমা বেওয়া নিজের ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে, ছেলে আঃ বারেক, ছেলে বউ চায়না বেগম ও নাতি রশিদুলের বিরুদ্ধে জামালপু থানায় একটি এজাহার করেছেন।
এব্যাপারে জামালপুর থানা ওসি, সালেমুজ্জান বলেন, মায়ের মামলাটি আমলে নিয়ে ওই দিনই মাদকাসক্ত, আঃ জব্বারকে গ্রেফতার করে কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।