আলোকিত ঢাবি থেকে ‌‘অন্ধকার’ দূর করার দাবি তিলোত্তমারর

S M Ashraful Azom
0
আলোকিত ঢাবি থেকে ‌‘অন্ধকার’ দূর করার দাবি তিলোত্তমারর
সেবা ডেস্ক:  ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে যোগ দেওয়া একমাত্র নারী সদস্য তিলোত্তমা শিকদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্ধরকার দূর করার দাবি জানিয়েছেন। ২৭ জুন, বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনের সমাপনী দিনে তিনি তার দাবি দাওয়া তুলে ধরেন। জালিয়াত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার, রেজিস্ট্রার ভবনের আধুনিকায়ন, বৈধ উন্নয়ন ফি নির্ধারণ, গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, ধর্মভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার বিষয়ে কথা বলেছেন তিলোত্তমা।

তিনি বলেন, ‌‌''আমরা প্রায়সই একটি কথা বলে থাকি যে, ‌‌আলোকিত ঢাকা বিশ্বদ্যালয়। মেধার আলোয় জ্ঞানের আলোয় আমরা অবশ্যই আলোকিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমাণ লাইটের আলোয় আলোকিত নয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে লাইট না থাকার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে নারীদের খুব বড় ধরণের হয়রানীর মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্ম এই পয়েন্টগুলোতে হচ্ছে। তাই উপাচার্যের কাছে আমি দাবি জানাবো মেধার আলো, জ্ঞানের আলোর পাশাপাশি লাইটের আলোয় আলোকিত করুণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে।'' এ সময় উপাচার্য জানান, নোট নেয়া হয়েছে। শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে ছাত্রলীগের সদিচ্ছার কারণেই ডাকসু নির্বাচন হয়েছে বলে দাবি করে সংগঠনটির এই নারী নেত্রী বলেন, ‌''ছাত্রলীগের সদিচ্ছার কারণে ‘অনিয়ম’ ছাড়াই ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। যাঁরা এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন, তাঁরা ডাকসুর নির্বাচন চান না। আজকে ডাকসু নির্বাচন কারা চাচ্ছে না তাদের পরিচয় প্রকাশ করার সময় হয়েছে বলে আমি মনে করি।''

তবে তার এই বক্তব্যের জবাব দিতে পয়েন্ট অব অর্ডার তুলে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনে অসংখ্য অনিয়ম হয়েছে। ডাকসু নির্বাচনে অনিয়মের খবরগুলো আমরা মূলত গণমাধ্যম থেকে জেনেছি। যদি কোনো অনিয়ম না-ই হয়ে থাকে, সৎসাহস থাকলে গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে মামলা করুন।' নির্বাচনে অসংখ্য অনিয়ম হয়েছে, তাই সাফাই গাওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এর বাইরে ডাকসুর সদস্য তিলোত্তমা শিকদার বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ধীরে ধীরে একটি সার্টিফিকেটভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হচ্ছে, যা দুঃখজনক। পর্যাপ্ত সুযোগের অভাবে শিক্ষার্থীরা বিদেশগামী হচ্ছেন। এখানে পর্যাপ্ত ক্লাসরুম নেই, মানসম্মত শিক্ষকও নেই৷'

তিলোত্তমার বক্তব্য শেষ হলে সিনেটের শিক্ষক-প্রতিনিধি পাপিয়া হক দাঁড়িয়ে পয়েন্ট অব অর্ডার তুলে বলেন, ‌'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষক নেই। তার এই বক্তব্যে অত্যন্ত অসম্মানিতবোধ করছি। তার এই ‘ঢালাও মন্তব্য’ এক্সপাঞ্জ করা হোক।' এ সময় তার পয়েন্ট অব অর্ডার আমলে না নিয়ে উপাচার্য বলেন, ‌‌ঢালাওভাবে বুঝাতে চায়নি, সে (তিলোত্তমা) কথাচ্ছলে বলেছে।'

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top