
বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। বকশীগঞ্জ উপজেলার ৭ ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভার প্রায় এক লাখ মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। অস্বাভাবিকভাবে বন্যার বৃদ্ধির ফলে সাধুরপাড়া ও মেরুরচর ইউনিয়নের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে বানভাসি মানুষ।
জানা গেছে, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ এবং দশানী নদীর পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার সাধুরপাড়া, মেরুরচর , বগারচর, নিলক্ষিয়া, বকশীগঞ্জ সদর, বাট্টাজোড়, ধানুয়া কামালপুর ও বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। ৭ ইউনিয়নের ১৬০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়ায় মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রান্না করা চুলা পানির নিচে থাকায় খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে বানভাসি মানুষের । সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছেন না। এ কারণে বানভাসি মানুষের পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে ও অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বন্যার্ত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। স্যানিটেশন ব্যবস্থা বন্যায় ভেঙে পড়েছে।
সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু বলেন, তার ইউনিয়নের শতভাগ গ্রাম পানির নিচে। অথচ যে পরিমাণ ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। তিনি পযাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন।
১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাসান মাহবুব খান বলেন, বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের জন্য পযাপ্ত ত্রাণের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে , আশাকরি বানভাসি মানুষের কোন অসুবিধা হবে না।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।