ধুনটে এ্যাসিলান্ডের নোটিশ আমলে নেয়নি ব্যবসায়ীরা

S M Ashraful Azom
0
ধুনটে এ্যাসিলান্ডের নোটিশ আমলে নেয়নি ব্যবসায়ীরা
রফিকুল আলম, ধুনট প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে অবৈধ ৩১টি দোকানঘর স্বেচ্ছায় অপসারন করে নেওয়ার নোটিশ আমলে নেয়নি ব্যবসায়ীরা। উপজেলা সরকারি কমিশনার (ভ‚মি, এ্যাসিল্যান্ড) ৭কার্যদিবসের মধ্যে দোকানঘর অপসারনে করে নেওয়ার জন্য ১৮ জুন ব্যবসায়ীদের এই নোটিশ প্রদান করেন। 

উপজেলার ভান্ডারবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৮৯৩ সালে স্থাপিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠাকালে বিদ্যালয়ের ৬ বিঘা জমি ছিল। স্থানীয় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে ৩১টি দোকানঘর নির্মাণ করেছে। এতে সাড়ে ৪ বিঘা আয়তনের মাঠ বেদখল হওয়ায় দেড় বিঘা জমির ওপর বর্তমানে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো দাঁড়িয়ে আছে।

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলকারীদের তালিকায় রয়েছেন ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য হবিবর রহমান, সোহরাব আলী, মহর আলী, আব্দুল মজিদ, নুর মোহাম্মাদ, ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মাহবুবুর রহমান, বাদশা মিয়া, হবিবর রহমান, হযরত আলী ও ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর আব্দুল লতিফসহ ৩১ জন ব্যবসায়ী। 

গত ১৪ মে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান অবৈধ দোকানঘর গুলো উচ্ছেদের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ১৫মে বিদ্যালয় মাঠ দখলে আ,লীগ-বিএনপি একাট্রা শিরোনামে কালের কন্ঠে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি দৃষ্টিগোচর হওয়ায় ১৮জুন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি,এ্যাসিলান্ড) স্বেচ্ছায় দোকানঘর অপসারন করে নেওয়ার জন্য ৩১ ব্যবসায়ীকে নোটিশ দেন। সেই নোটিশের মেয়াদ ২৬ জুন শেষ হয়েছে। তারপরও বিদ্যালয় মাঠ থেকে অবৈধ দোকানঘর গুলো অপসারণ করা হয়নি।

অবৈধ দখলকারীদের পক্ষে উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, দোকানঘর গুলো অপসারণ করে নেওয়ার জন্য এ্যাসিলান্ডের নিকট থেকে মৌখিক ভাবে ১৫ দিনের সময় নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সব গুলো দোকানঘর অন্যত্র সরে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি চলছে।

ধুনট উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) জিনাত রেহানা বলেন, অবৈধ দোকানঘর গুলো ৭কার্যদিবসের মধ্যে অপসারনে করে নেওয়ার জন্য ৩১ ব্যবসায়ীকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত ব্যবসায়ীরা দোকানঘর গুলো অপসারনর করেনি। একারনে দোঘানঘর গুলো উচ্ছেদ করে দেওয়ার জন্য আইনী প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top