
রফিকুল আলম,ধুনট : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি কমলেও বাড়ছে বাঙ্গালী নদীর পানি। ফলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। দূর্ভোগ বেড়েছে যমুনা নদীর চর এলাকার বানভাসি মানুষের।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ২৬ সেন্টিমিটার কমে রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিপদ সীমার ৭৯ সেন্টিমিটার ওপর দিযে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি ১৬.৭০ সেন্টিমিটার বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ১৬ জুলাই যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।
এদিকে উজানের ঢলে পানি বেড়ে বাঙ্গালী নদী ফুসে উঠেছে। এ নদীর বিপদসীমা ১৫.৮৫ সেন্টিমিটার নির্ধারন করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় বাঙ্গালী নদীর পনি ৩৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিপদ সীমার ৫৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদীর তীরবর্তি নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামের ২ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে রাধানগর চরের ৮৮ বসতবাড়ি। বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে ৩০০ পরিবার। ৭টি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ জলমগ্ন হওয়ায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
বন্যায় প্রায় ৫ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে কৃষকের জাগ দেওয়া ৩ একর জমির পাট। বন্যায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষ। চরে বসবাসকারী মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট।#
ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, যমুনার পানি কমতে শুরু করায় বানবাসি মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসছে। বন্যার্তদের মাঝে সাড়ে ২০ মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে ৬০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। বিশুদ্ধ পানির চাহিদা মেটাতে বাঁধের উপরে ১৮টি নলকুপ বসানো হয়েছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।