নালিতাবাড়ীতে ধান দিতে না পেরে কৃষকদের ক্ষোভ

S M Ashraful Azom
0
নালিতাবাড়ীতে ধান দিতে না পেরে কৃষকদের ক্ষোভ
সেবা ডেস্ক: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের মাধ্যমে  দ্ইু ধাপে পৌরসভাসহ ৫টি ইউনিয়নের ১ হাজার ৮০৬ জন কৃষকদের কাছ থেকে গত শনিবার পর্যন্ত এক হাজার ২৮৬ মেট্রিকটন ধান কিনা হয়েছে। ধানের বরাদ্দ কম থাকায় এবং কৃষকের চাহিদা বেশি থাকায় গত রোববার থেকে ৭টি ইউনিয়ন বাকি রেখে সরকারি ভাবে ধান কিনা স্থগিত করা হয়েছে।
গতকাল খ্যাদ্যগুদামে ধান দিতে  না পেরে কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা ধানের বরাদ্দ বৃদ্ধি করে দ্রুত খাদ্যগুদামে ধান নেওয়ার দাবী জানান।

চলতি মৌসুমে সরকারি ভাবে ২৬ টাকা কেজি দরে এক মণ ধানের দাম ১ হাজার ৪০ টাকা নিধারণ করা হয়েছে। এই অভিযান ৩০ আগষ্ট পর্যন্ত চলবে।

উপজেলা প্রশাসন ও খাদ্যনিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ২১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়।  চলতি বোর  মৌসুমে  উপজেলায়  উৎপাদিত ধানের পরিমান  ১ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন। কিন্ত সরকারি ভাবে কৃষকের কাছ থেকে প্রথম ধাপে ৫৭০  মেট্রিক টন ধান ক্রয় করার সিদ্ধান্ত হয় । কিন্ত উপজেলায় ধানের উৎপাদনের পরিমান বেশি থাকায় এবং সরকারি ভাবে সল্প ধান নেওয়া সিদ্ধান্তে কৃষকরা ক্ষুভ প্রকাশ করেন। পওে কৃষকরা সরকারি ভাবে ধান কিনার পরিমান বৃদ্ধিও দাবি জানান। এ নিয়ে গত ১৮ মে সরকারি ভাবে ধান ক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধির দাবিতে ধান চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি  কাছে স্মারকলিপি  দেওয়া হয় । গত ১৯ জুন উপজেলা ধানের উৎপাদন ও কৃষকের কথা বিবেচনা কওে উপজেলায় কৃষকদেও কাছ থেকে আরো অতিরিক্ত ৯৫৩ মেট্রিক টন ধান সরকারি ভাবে ক্রয় করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এতে এলাকার কৃষক তাদেও ধান খাদ্যগুদামে দিতে পারবে জেন সরকারের প্রতি সুন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নে  ধান কিনা জন্য মাইক যোগে প্রচার করা হয়। গত ১৪ জুলাই  থেকে পর্যয়ক্রমে পৌরসভা সহ নন্নী,রুপনারায়নকুড়া,বাঘবেড়, যোগানিয়া ও কাকরকান্দি ইউনিয়নের ১ হাজার ৮০৬ জন কৃষকের কাছ থেকে গত শনিবার পর্যন্ত ১ হাজার ২৮৬  মেট্রিকটন ধান কিনা হয়েছে। সরকারি ভাবে আরো  ২৩৭  মেট্রিকটন ধান কেনার সুযোগে রয়েছে। কিন্ত নয়াবিল ,মরিচপুরান, পোড়াগাঁও,নালিতাবাড়ী,কলসপাড় রামচন্দ্রকুড়া ও রাজনগর ইউনিয়নে এখনও কৃষকদেও ধান সরকারি ভাবে কিনা হয়নি। এই ৭টি ইউনিয়ন বাকি  রেখে গতকাল রোববার ধান কিনা স্থগিত করা হয়েছে। এতে নিধারিত সময় মেনে কৃষকরা তাদেও ধান নিয়ে খাদ্যগুদামে আসলেও ধান দিতে না পারায় কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা এই ৭টি ইউনিয়নের জন্য কম কম করে হলেও আরো ৫০০ মেট্রিকটন ধান নেওয়া দাবী জানান।

মরিচপুরানের কৃষক ফজলুর রহমান জানান, আজ রোববার আমগর ধান নেওয়ার কথা ছিলো।  শত শত কৃষক তাদেও ধান নিয়ে খাদ্যগুদামে এসেছেন। কিন্ত হঠাৎ স্থগিত হওয়া আমরা বিপদে পরলাম। আমরা চাই দ্রুত আরো সাতটি ইউনিয়ননওে কৃষকদেও কাছ থেকে ধান নেওয়া  হোক।

নয়াবিলের কৃষক জামাল উদ্দিন জানান, সবাই ধান দিছে। আমরাও ধান দিমু সব কিছু রেডি করছি। কৃষি কার্ড করছি। অহন হুনতাছি ধান নেওয়া অইতো না। পরে ধান কিনা অইবো। যেমনেই হোক অন্য কৃষকরা যেমনে ধান দিছে আমরাও ধান দিবাই চাই। সরকারি ভাবে আরো ধান বরাদ্দ দেওয়া হোক।যাতে আমরাও সরকারি ভাবে ধান বেচপার পাই।

উপজেলা খাদ্যগুদামের  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  মো. আবু সম্রাট খান জানান,ইতি মধ্যে পৌরসভাসহ পাঁচটি ইউনিয়নে কৃষদেও আবেদনের প্রেক্ষিতে ১ হাজার ২৮৬ মেট্রিকটন ধান কিনা হয়েছে। এখন বাকি বরাদ্দ আছে ২৩৭ মেট্রিকটন। কিন্ত ৭টি ইউনিয়নের কৃষকওে সংখ্যা অনেক বেশি। নিরুপায় হয়ে ধান কিনা স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা  স্যারকে জানানো হয়েছে। তাদের পরার্মশে পরবর্তীতে পুনরায় ধান কিনা শুরু করা হবে।
জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা খন্দকার ফরহাদ জানান,বিষয়টি আমি উদ্ধর্তণ কর্র্তপক্ষকে জানিয়েছি। সাত ইউনিয়ননের কৃষকদেও নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। সময়ও হাতে রয়েছে। অতিরিক্ত বরাদ্দ পাওয়া  গেলেই পুনরায় বাকি  ইউনিয়নের  কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনা হবে।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top