
রফিকুল আলম,ধুনট: যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর পানি কমে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বন্যার পানি ঘরবাড়ি থেকে নেমে যাচ্ছে। পানি কমলেও বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। বরং সেটি আরো বেড়ে গেছে।
যমুনা নদীর চর এলাকায় পানি থাকা অবস্থায় যে ঘরটি দাঁড়িয়ে ছিল, পানি নামার পর, কাঁচা সেই ঘরগুলো ধসে পড়ছে। ভেসে ওঠা রাস্তার স্থানে স্থানে বড় বড় গর্ত কিংবা খাদ সৃষ্টি হয়েছে। নলকূপগুলো বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় লোকজন বিশুদ্ধ পানীয় জল পাচ্ছে না। জীবজন্তু গাছপালার পাতালতা পচে যাওয়ায় চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে।
প্রথম দফা বন্যায় অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পেয়ে যমুনা নদীর তীর উপচে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভ্যন্তরের গ্রাম গুলোতে প্রবেশ করে। পানিবন্দি হয়ে পড়ে যমুনা নদীর বৈশাখী, রাধানগর ও বথুয়ারভিটা চরের প্রায় এক হাজার পরিবার।
এছাড়া বাঁধের অভ্যন্তরের সহরাবাড়ী ও শিমুলবাড়ী গ্রাম সম্প‚র্ণ এবংআটাচর, বানিয়াজান, কৈয়াগাড়ী, রঘুনাথপুর, ভান্ডারবাড়ী, পুকুরিয়া, ভ‚তবাড়ী ও মাধবডাঙ্গা গ্রামের আংশিক এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করে। এসব এলাকার বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় বাঙ্গালী নদীর পানি বেড়ে উপজেলার ধুনট, নিমগাছি, কালেরপাড়া, চিকাশি, এলাঙ্গী, চৌকিবাড়ি, মথুরাপুর ও গোপালনগর ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়। এসব এলাকার বাড়িঘরে পানি না উঠলেও উঠতি ফসলের ব্যবপক ক্ষতি হয়েছে। সব মিলে এ উপজেলায় পাট, মরিচ, আউশ, শাকসবজি ও আমন বীজতলাসহ প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার কমে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং বাঙ্গালী নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার কমে ৮৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি দ্রæত গতীতে কমলেও বাঙ্গালীর পানি ধীরে কমছে। তবে এই দুই নদীর পানি বাড়ার আর আশংকা নেই।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।