
সেবা ডেস্ক: নারী গোয়েন্দাদের কথা বলতে গেলে সবার আগে যে নামটি আসে সেটি হলো মাতা হারি। মাতা হারি ইতিহাসের সবথেকে ভয়ংকর এবং দুর্ধর্ষ নারী গোয়েন্দা। তার পুরো নাম মার্গারিতা গ্রীথুইডা যেলা।
মাতা হারির নৃত্যশিল্পী জীবন শুরু হয় প্যারিসে; ১৯০৫ সালে। প্রায়-নগ্ন নৃত্য পরিবেশন করতেন তিনি। ফলে প্যারিস ছাড়িয়ে গোটা ইউরোপে তার ‘সুনাম’ ছড়িয়ে পড়তে খুব বেশি দেরি হয়নি। এই সুবাদে সামরিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের অসংখ্য হোমড়াচোমড়ার সাথেও তার দহরম-মহরম প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১৪ সালে যখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়, মাতা হারি তখন ইউরোপ সফরে ব্যস্ত। নানা দেশে নৃত্য প্রদর্শন এবং অনুষ্ঠান শেষে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের শয্যাসঙ্গিনী হওয়া বিষয়টি চোখ এড়ায় না ফ্রান্সের। তারা তাকে ‘কাজে লাগানোর’ সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুসারে জার্মানি-অধিকৃত বেলজিয়ামে ফ্রান্সের স্পাই হিসেবে কাজ পায় মাতা হারি। একপর্যায়ে জার্মানরাও তাকে স্পাই হতে সাধে। বুদ্ধিমতী মাতা হারি তাতেও ‘না’ করে না। সে হয়ে যায় ডাবল এজেন্ট। জার্মানদের তৎপরতার খবর জানায় ফ্রান্সকে, আর ফ্রান্সের খবর জার্মানিকে।
একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। ব্রিটেনের একজন স্পাই তার কর্তৃপক্ষকে জানায় মাতা হারির দ্বিচারিণী ভূমিকার কথা। সেখান থেকে জেনে যায় ফ্রান্স। ১৯১৭ সালের গোড়ার দিকে প্যারিসে গ্রেফতার করা হয় মাতা হারিকে। সে যথারীতি অপরাধ অস্বীকার এবং নিজেকে নির্দোষ দাবি করে। কিন্তু তাতে কাজ হয় না। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত হয় মাতা হারি। ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার রায় হয়।

মাতা হারি মৃত্যুদন্ড
তবে দুরন্ত সাহস ছিল মাতা হারির এ কথা স্বীকার করতেই হবে। ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে মারার আগে সে তার চোখ কাপড় দিয়ে বাঁধতে দিতে অস্বীকার করে এবং যে সৈনিক তাকে গুলি করবে, তার চোখে চোখ রেখে মরতে চায়।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।