
সেবা ডেস্ক: আসন্ন কোরবানী ঈদ পর্যন্ত সীমান্তপথে বৈধ-অবৈধ সব ধরনের ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সারা দেশে প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মজুদের পাশাপাশি কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর সরবরাহ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খসরুর সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পশুর সংখ্যা নিরূপণ, কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর ক্রয়-বিক্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা, বিক্রেতাদের নিরাপত্তা, পশুর গাড়ি ছিনতাই রোধ এবং পশু বিক্রেতাদের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এবার সারা দেশে কোরবানিযোগ্য ৪৫ লাখ ৮২ হাজার গরু ও মহিষ, ৭২ লাখ ছাগল ও ভেড়া এবং ৬ হাজার ৫৬৩টি অন্যান্য পশুর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর।
আসন্ন ঈদুল আজহায় ১ কোটি ১০ লাখ গবাদিপশুর কোরবানি হতে পারে বলে সভায় জানানো হয়েছে।
সভায় আরও জানানো হয়, এবারের ঈদুল আজহায় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় ১৪টি ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতায় ১০টি কোরবানির হাট বসবে। এই ২৪টি স্থায়ী-অস্থায়ী কোরবানির হাটেও দুটি করে ভেটেরিনারি টিম কাজ করবে।
এ ছাড়া দেশের উল্লেখযোগ্য কোরবানির হাটেও পশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম মজুদ থাকবে।
একই সঙ্গে পশু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়সহ পশু বিক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত হাসিল আদায় রোধ এবং ব্যাপারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।