পলাশবাড়ীতে ধান ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে

S M Ashraful Azom
0
There have been allegations of irregularities in the purchase of paddy in Palashbari
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় সরাসরি কৃষকদের মাঝে ধান ক্রয়ে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়,সারাদেশে ধানের বাজার কমে যাওয়ায় কৃষকদের দাবীর মুখে সরাসরি কৃষকদের নিকট হতে ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে সরকার।

সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক পলাশবাড়ী উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৪০০ মেঃ টন ও ২য় পর্য়ায়ে ৬০০ মেঃটন মোট ১ হাজার মেঃটন ধান বরাদ্দ প্রদান করা হয়।

ধান ক্রয়ের শুরুতেই উপজেলা ক্রয় কমিটি ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় গ্রহণ করে।সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে ধান ক্রয়ের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ক্রয় কমিটি কৃষকের তালিকা লটারী করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।আই ওয়াশ লটারী মাধ্যমে বিশেষ কিছু কৃষকের নাম ঐ তালিকায় অন্তভুক্ত করে ধান ক্রয় শুরু করে।

তালিকা অনুযায়ী কেবল মাত্র বিশেষ শ্রেনির কৃষকদের ধান ক্রয় করা হয়। তালিকার অনেকেই মৃত্যু বরন করেছেন,অনেকে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় বসবাস করছেন।অনেক কৃষকের উৎপাদন কম হওয়ায় বিক্রি করার মত ধানই নেই! এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যাবসায়ীরা মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে খাদ্য কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে গুদামে ধান সরবরাহ করছেন। এপর্যন্ত ধান প্রদানকারীদের মাঝে প্রকৃত কৃষক হাতে গণা কয়েকজন বাকি ধান গুলো স্থানীয় ব্যবসায়িরা কৃষকের নিকট হতে সারে তিন হাজার হতে চার হাজার টাকার বিনিময় কিনেছেন ব্যবসায়িরা এসব কার্ড মুলে তারা সরকারিভাবে ক্রয়ে ধান বিক্রি করছেন। এছাড়াও চাল ক্রয়েও ঘটেছে তেলমাতি কারবার। প্রায় ৯২ হতে ৯৬ টি মিলের তালিকা রয়েছে। যদিও সরেজমিনে মিল গুলোর ভংকুর দশায় পরিণত। এগুলোর অধিকাংশ মিলারের চাল দেওয়ার মতো অবস্থা না থাকায় স্থানীয় ব্যবসায়িরা এসব মিলের নাম কিনে নিয়ে কয়েকজন ডিও ব্যবসায়ি ত্রান, ভিজিডি, ভিজিএফ চালসহ নিম্নমানের চাল ক্রয় করা অভিযোগও রয়েছে। একই পদ্ধতিতে ২য় পর্যায়ের ৬০০ মেঃটন ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে উপজেলা ক্রয় কমিটি।

ইতিমধ্যেই খাদ্য মন্ত্রনালয় থেকে সরাসরি কৃষকদের নিকট হতে জরুরী ভিত্তিতে ধান ক্রয়ের নির্দেশনা দিলে ও নানা অজুহাত দেখিয়ে উপজেলা ক্রয় কমিটি সরাসরি কৃষকদের নিকট হতে ধান ক্রয়ের ব্যাপারে তালবাহানা শুরু করেছে ।

বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন আমরা লোক দেখানো লটারি চাই না,আমরা আমাদের উৎপাদনকৃত ধান সরাসরি সরকারের নিকট বিক্রি করতে চাই। কোন বিশেষ ব্যক্তি বা মহলের কারনে সরকারের এই মহতী উদ্যোগ যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য উচ্চ পর্যায়ের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় বঞ্চিত কৃষকেরা। ধান ক্রয়ের বিলম্বের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জানান কৃষি অফিসের তালিকা ও ক্রয় কমিটির লটারি অনুযায়ী ১ম বরাদ্দের ধান ক্রয় করা হচ্ছে। লটারিতে নাম না থাকলে সেই কৃষকের ধান ক্রয় করা হচ্ছে না!

উপজেলা কৃষি অফিসার জানান, ক্রয় কমিটির চাহিদা মোতাবেক কৃষকদের তালিকা প্রদান করা হয়েছে।পরে ধান ক্রয়ের জন্য লটারির মাধ্যমে কৃষকদের নির্বাচিত করা হয়েছে। উপজেলা ক্রয় কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল হক জানান প্রথম পর্যায়ের বরাদ্দ লটারি মাধ্যমে কৃষকদের তালিকা চুড়ান্ত হয়েছে।২য় পর্যায়ে তাই করা হবে।


 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top