
সেবা ডেস্ক: পুরুষদের নারীর বেশ ধারণ এবং নারীর পুরুষদের বেশ ধারণ করা স্বভাববিরুদ্ধ কাজ। এর ফলে অশান্তির দুয়ার খুলে যায় এবং সমাজে উচ্ছৃংখলা ও বেহাল্লাপনা ছড়িয়ে পড়ে। ইসলামি শরিয়তে এ জাতীয় কাজকে হারাম বলে গণ্য করা হয়েছে।
হজরত ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা.) বলেন, ‘যেসব পুরুষ-নারীর সঙ্গে এবং যেসব নারী-পুরুষের সঙ্গে সাদৃশ্যপুর্ণ বেশভূষা গ্রহণ করে তাদের ওপর আল্লাহর অভিসম্পাত।’(বুখারী, তিরমিযী, আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ)।
উল্লেখ থাকে যে, পুরুষ কর্তৃক নারীর এবং নারী কর্তৃক পুরুষের কন্ঠস্বর অনুকরণও এর আওতাভুক্ত। সুতরাং নারী যখন পুরুষের মত আটশাট, পাতলা ও শরীরের আবরণযোগ্য অংশ অনাবৃক্ত থাকে এমন পোশাক পরে, তখন সে পুরুষের সঙ্গে সাদৃশ্য অবলম্বন করে এবং অভিসম্পাতের যোগ্য হয়। তার এই আচরণ যদি স্বামী মেনে নেয় এবং তাকে এ থেকে বিরত না রাখে, তবে সেও উপরিক্ত হাদিসেন ভাষায় অভিসম্পাতের যোগ্য হবে। কেননা স্ত্রীকে আল্লাহর
আদেশের অনুগত রাখতে এবং তার নাফরমানী থেকে বিরত রাখতে সে আদিষ্ট।
আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগন! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিজনকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর।’ (সূরা আত-তাহরমি-৬)।
ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল। প্রত্যেকেই অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হব।’
হাসান (রহ.) বলেন, ‘দুই শ্রেণীর মানুষ জাহান্নামী হবে। যারা গরুর লেজ সদৃশ বেত দ্বারা মানুষকে প্রহার করে এবং যে নারী এত পাতলা পোশাক পরে যে, তার ভেতর দিয়ে শরীরের রং দেখা যায় এবং অহংকারীর বেশে হেলে দুলে পথ চলে, এই সকল নারী জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। যা বহুদূর থেকে পাওয়া যায়। (সহীহ মুসলিম)।
হজরত নাফে (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, একদিন হজরত ইবনে উমর ও আবদুল্লাহ ইবনে আমর হজরত যুবায়েরর কাছে ছিলেন। এমতাবস্থায় এক মহিলা ঘারে ধনুক বহন করে মেষ পাল হাকাতে হাকাতে এগিয়ে চল। আবদুল্লাহ ইবনে উমর তাকে জিজ্ঞাসা করে, তুমি পুরুষ না মহিলা? সে বললো মহিলা। তখন তিনি আবদুল্লাহ ইবনে আমরের দিকে তাকালে তিনি বললেন, আল্লাহ তায়ালা স্বীয় নবীর মুখ দিয়ে পুরুষদের সঙ্গে সাদৃশ্য অবলম্বনকারী মহিলাদেরকে এবংমহিলাদের সঙ্গে সাদৃশ্য অবলম্বনকারী পুরুষদেরকে অভিসম্পাত করেছেন।
এ থেকে বুঝা গেল, পুরুষ সুলভ পেশা অবলম্বন, পুরুষোচিত ভঙ্গিতে বেপর্দাভাবে চলাফেরা ও কাজ করা নারীদের জন্য পুরুষের সঙ্গে সাদৃশ্য অবলম্বনের পর্যায়ে পড়ে। তবে পর্দাসহকারে পেশা অবলম্বন করা ও তার কাজ করা যায়।
রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘মিরাজ রজনীতে আমাকে জাহান্নাম দেখানো হয় আর জাহান্নামবাসীদের অধিকাংশ নারী।’ তিনি আরো বলেন, ‘পুরুষদের জন্য নারীর চেয়ে ক্ষতিকর বস্তু আমি আর কোনো জিনিস রেখে যাইনি।’
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।