লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে হজ শুরু

S M Ashraful Azom
0
Allahumma Hajj labbaika started shouting labbaika
সেবা ডেস্ক: ‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়ালমুল্ক্’। বাংলায়—‘আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার।’ এই ধ্বনিতে আজ পবিত্র মক্কা থেকে মিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান।

পবিত্র মক্কা হতে মিনার উদ্দেশ্যে পদযাত্রায় লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান নরনারীর পদভারে মুখরিত হয়ে উঠবে আজ। আকাশে বাতাসে মুখরিত হয়ে লাখো মুসলমানের সুমধুর কণ্ঠে উচ্চারিত হবে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনি।

সারা পৃথিবীর ২০ লাখের বেশি মুসলমান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর নিজ নিজ আবাস এবং মসজিদুল হারাম থেকে ইহরাম বেঁধে মক্কা থেকে ৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মিনার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।এর মাধ্যমে সূচনা হবে মুসলমানদের অন্যতম ফরজ ইবাদত পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা।

মিনায় যাত্রার মধ্য দিয়ে হজ পালনের সূচনা হয়; যা শেষ হবে ১২ জিলহজ শয়তানকে পাথর মেরে।

হজ পালনকারীদের জন্য মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। দীর্ঘ যানজট এড়াতে অনেকে মিনায় যাবেন পায়ে হেঁটে। অন্যান্য দেশের হাজিদের মতো বাংলাদেশের ১ লাখ ২৬ হাজার হাজিও রওয়ানা হবেন মিনার পথে।

৯ আগস্ট সারাদিন মিনায় অবস্থান করে সেদিন রাতে ও প্রত্যুষে আরাফাতের ময়দানের দিকে যাত্রা করবেন তারা। ১০ আগস্ট আরাফাতের ময়দানে অবস্থিত মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেয়া হবে। হজের খুতবা শেষে জোহর ও আসরের নামাজ পড়বেন হাজিরা। সেদিন সূর্যাস্তের পর আরাফাত থেকে মুজদালিফায় যাবেন। সেখানে গিয়ে তারা মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন।

মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে সারারাত অবস্থানের পর শয়তানের স্তম্ভে পাথর নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুতি নেবেন হাজিরা। ওইদিন ফজরের নামাজ শেষে বড়ো জামারায় (প্রতীকী বড়ো শয়তান) পাথর নিক্ষেপ করতে মিনায় যাবেন তারা। পাথর নিক্ষেপ শেষে পশু কোরবানি দেবেন তারা।

৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের দিনকেই হজের দিন বলা হয়। এদিনের নাম—ইয়ামুল আরাফা।

১০ জিলহজ মিনায় প্রত্যাবর্তনের পর হাজিদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়। শয়তানকে (জামারা) পাথর নিক্ষেপ, আল্লাহর উদ্দেশে পশু কোরবানি, মাথা ন্যাড়া করা এবং তাওয়াফে জিয়ারত। এরপর ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান করে প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ করবেন হাজিরা। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top