
সেবা ডেস্ক: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভাসমান ঈদগাহে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করলেন নরসিংহপাড়া, শুকলহাট, শুকলাই গ্রামের তিন হাজার মানুষ। এ নিয়ে গ্রামগুলোতে উৎসব বিরাজ করছে।
২০১৮ সালে দ্বিতল এ ঈদগাহ মাঠে প্রথম ঈদের জামাত হয়েছে। এ বছর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় চারদিক পানিবেষ্টিত দৃষ্টিনন্দন এ ঈদগাহ আরো চমক সৃষ্টি করেছে।
নরসিংহপাড়ার বাসিন্দা মোস্তফা জাহাঙ্গীর ২০১২ সালে চলনবিল অধ্যুষিত এ স্থানে দ্বিতল ঈদগাহ মাঠ নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। তার পরিকল্পনা জানার পর এগিয়ে আসেন বিত্তবানরা। দেড় বছরে আর্থিক সহায়তার পরিমাণ হয় ২০ লাখ টাকা। এতেই নির্মিত হয় ভাসমান ঈদগাহ।
মোস্তফা জাহাঙ্গীর জানান, চলনবিলের এ অংশ জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে থাকে। আগে ১৩ শতাংশ জায়গায় পানির উপর সারি সারি নৌকা বেঁধে তৈরি করা নৌ ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করা হতো। ২০১৫ সালে আরো ৯ শতাংশ জায়গা কিনে ১০০ বর্গফুট আয়তনের দ্বিতল ঈদগাহ মাঠ নির্মাণ করা হয়। এতে খরচ হয়েছে ৫৬ লাখ টাকা।
মোস্তফা জাহাঙ্গীর আরো জানান, ঈদগাহ মাঠ কমিটির সভাপতি মো. আফজাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক, সদস্য আবদুর রশিদসহ তিন গ্রামের অসংখ্য মানুষ ভাসমান ঈদগাহ নির্মাণে সহায়তা করেছেন।
ঈদগাহ মাঠ কমিটির সভাপতি মো. আফজাল হোসেন বলেন, তিন গ্রামের মানুষের কষ্টের কথা ভেবে মোস্তফা জাহাঙ্গীর এ ঈদগাহ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। আমরা প্রত্যেকে সামর্থ্য অনুযায়ী আর্থিক সহায়তা করেছি। এখন আর আমাদের ঈদের নামাজ আদায় করতে কষ্ট করতে হবে না। এখন আশপাশের গ্রাম থেকেও মানুষ নামাজ এ ঈদগাহে আসেন।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।